—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
একত্রেবাসে (লিভ ইন) থাকেন অথচ, কারও বিয়ের বয়স হয়নি। এমন যুগলকেও নিরাপত্তা দিতে হবে প্রশাসনকে। একটি মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিল পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট।
একত্রবাসে রয়েছেন এমন এক যুগল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীদের মধ্যে তরুণীর বয়স ২১ বছর। যুবক ১৮ বছর বয়সি। আদালতে তরুণী জানান, তাঁর সঙ্গীর বিয়ের বয়স হলেই তাঁরা বিয়ে করবেন। কিন্তু এই সম্পর্ক নিয়ে বেঁকে বসেছে পরিবার। আদালতে তরুণী জানান, তাঁর ইচ্ছার কথা শোনামাত্র অন্য এক জনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে দেন বাবা-মা। জোর করে তাঁর সঙ্গীর কাছ থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।
আদালতে যুগল এ-ও জানিয়েছেন, তাঁরা কিছু দিন এক সঙ্গে থাকার পর থেকেই পরিবারের লোকজন হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা ভয় পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তার পরেও নিরাপত্তা পাননি।
যুগলের আর্জি শুনে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘বিয়ের বয়স না হলেও নিজেদের ইচ্ছেয় থাকা দু’টি মানুষের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য প্রশাসন।’’ বিচারপতি অরুণ মঙ্গা জানান, দেশের সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ ওই যুগলের ক্ষেত্রেও কার্যকরী। তাঁরা বিয়ে করুন কিংবা তাঁদের বিয়ের বয়স না হোক, সংবিধান অনুযায়ী যুগলের নিরাপত্তা পাওয়া উচিত। ওই প্রসঙ্গে বেশ কয়েক’টি মামলার কথা তুলে ধরেন বিচারপতি। তিনি পুলিশকে ওই যুগলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। যদি অভিযোগ সত্য হয়, সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।