দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিলাসবহুল গাড়ি। —ফাইল চিত্র ।
মহারাষ্ট্রের পুণেতে বিলাসবহুল পোর্শে গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরের জামিন পাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। তার মধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে জামাই আদর করেছিল পুলিশ। কিশোরকে বসিয়ে পিৎজ়া, বার্গার এবং বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমারকে বরখাস্ত করার দাবিও তুলেছেন শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউত। সঞ্জয়ের অভিযোগ, ওই কিশোরকে আটকের পরে থানায় নিয়ে গিয়ে ভালমন্দ খাওয়ানো হয়েছিল। পিৎজ়া এবং একটি বার্গার পরিবেশন করা হয়েছিল। অভিযুক্ত কিশোরকে সাহায্য করার সময় থানায় মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের এনসিপি গোষ্ঠীর এক বিধায়কও উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সঞ্জয় বলেন, ‘‘পুণের পুলিশ এমন এক ধনীর ছেলেকে সাহায্য করেছিল, যে গাড়ি চাপা দিয়ে দু’জনের প্রাণ কেড়েছে। পুলিশ তাকে পিৎজ়া এবং বার্গার পরিবেশন করছে কিসের জন্য? এখন, ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে যে ছেলেটি মদ খেয়েছিল। সবাই বাস্তব সম্পর্কে অবগত ছিল। এখনও তাকে সাহায্য করে চলেছে পুলিশ।’’
পুণের পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত না করা হলে মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সঞ্জয়। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করা উচিত। তিনি অভিযুক্তকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। এক যুবক দম্পতিকে খুন করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে কয়েক ঘণ্টা পরেই জামিন দেওয়া হয়। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে যে, অভিযুক্ত মত্ত অবস্থায় ছিল। কিন্তু মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে সে মদ খায়নি। কে এই পুলিশ কমিশনারকে সাহায্য করছে?’’
একই অভিযোগ করেছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্র ধাঙ্গেকরও। কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ, ‘‘ইয়েরওয়াদা থানায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। ছোটখাটো ধারা প্রয়োগ করে ওই কিশোরকে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়। পিঁপড়ের মতো দু’জনকে যে পিষে মেরে ফেলল, তাকে থানায় এনে বিরিয়ানি এবং পিৎজ়া খাওয়ানো হয়েছিল।’’