—প্রতীকী ছবি।
পুণেতে পোর্শে গাড়ির ধাক্কায় দুই বাইক আরোহীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরের জামিনের আবেদন খারিজ করল জুভেনাইল আদালত। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৫ জুন পর্যন্ত ওই কিশোরকে জুভেনাইল হোম বা শিশু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে থাকতে হবে।
১৭ বছর বয়সি ওই কিশোরকে গত সোমবার জামিন দিয়েছিল নিম্ন আদালত। জামিনের সময়ে কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারক। আদালত জানিয়েছিল, অভিযুক্ত কিশোরকে একটি রচনা লিখে জমা করতে হবে। সেই রচনার বিষয় হবে ‘দুর্ঘটনা’। পাশাপাশি, আরও কিছু শর্তের কথাও বলেছিলেন বিচারক। এর পরেই দানা বাঁধতে থাকে বিতর্ক। উল্লেখ্য, গ্রেফতারের ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেয়েছিল অভিযুক্ত ওই কিশোর।
জামিনের আবেদন খারিজের প্রসঙ্গে পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার বলেন, “আমরা জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে একটি আবেদন দাখিল করেছিলাম, যাতে ওই কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করে বিচারের আওতায় আনা হয় এবং তাঁকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড অভিযুক্ত ওই কিশোরকে আগামী ৫ জুন পর্যন্ত জুভেনাইল হোম বা শিশু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখার আদেশ দিয়েছে। তবে কিশোরটিকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করে বিচারের আওতায় আনার যে আবেদন করা হয়েছিল, সে বিষয়ে বোর্ড এখনও কিছু জানায়নি।
পুণের কল্যাণীনগর জংশনে রবিবার রাতে পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। রাতভর পার্টির পর রবিবার ভোররাতে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন অনীশ অবধিয়া এবং অশ্বিনী কোস্টা। তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েক জন বন্ধু ছিলেন। তাঁরাও বাইকে চেপে ফিরছিলেন। কল্যাণীনগর জংশনে অনীশের বাইকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে ওই পোর্শে গাড়িটি। চালকের আসনে ছিল বেদান্ত আগরওয়াল। গাড়িটি এত জোরে বাইকে ধাক্কা দেয় যে, অনীশ এবং অশ্বিনী ছিটকে গিয়ে পাশের একটি গাড়ির উপর পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।
ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। তাঁরাই পোর্শে গাড়ির চালক বেদান্তকে ধরে ফেলেন। ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তার পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বেদান্তকে। অনীশের বন্ধুদের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করার আনন্দে সারা রাত বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করে বেদান্ত। সেই পার্টিতে মদ্যপানও করেছিল সে। তার পর গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।