Pune Accident Case

দুর্ঘটনা নিয়ে রচনা লিখতে হবে, কাজ করতে হবে ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে! পোর্শে-কাণ্ডে শর্ত বেঁধে জামিন কিশোরকে

রাতভর পার্টির পর রবিবার ভোররাতে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন অনীশ অবধিয়া এবং অশ্বিনী কোস্টা। সে সময় অনীশের বাইকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে পোর্শে গাড়িটি। চালকের আসনে ছিল বেদান্ত আগরওয়াল। ঘটনাস্থলে মৃত্যু অনীশ-অশ্বিনীর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৪ ১৫:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুণেতে পোর্শে গাড়ির ধাক্কায় দুই বাইক আরোহীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরকে জামিন দিল আদালত। ১৭ বছর বয়সি কিশোরকে জামিন দেওয়ার সময় কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন বিচারক। আদালত বলেছে, অভিযুক্ত কিশোরকে একটি রচনা লিখে জমা করতে হবে। সেই রচনার বিষয় হবে দুর্ঘটনা। পাশাপাশি আরও কিছু শর্তের কথাও বলেছেন বিচারক।

Advertisement

পুণের কল্যাণীনগর জংশনে রবিবার রাতে পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। রাতভর পার্টির পর রবিবার ভোররাতে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন অনীশ অবধিয়া এবং অশ্বিনী কোস্টা। তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েক জন বন্ধু ছিলেন। তাঁরাও বাইকে চেপে ফিরছিলেন। কল্যাণীনগর জংশনে অনীশের বাইকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে পোর্শে গাড়িটি। চালকের আসনে ছিল বেদান্ত আগরওয়াল। গাড়িটি এত জোর বাইকে ধাক্কা দেয় যে, অনীশ এবং অশ্বিনী ছিটকে গিয়ে পাশের একটি গাড়ির উপর পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।

ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। তাঁরাই পোর্শে গাড়ির চালক বেদান্তকে ধরে ফেলেন। ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তার পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বেদান্তকে। অনীশের বন্ধুদের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করার আনন্দে সারা রাত বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করেন বেদান্ত। সেই পার্টিতে মদ্যপানও করেছিল সে। তার পর গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘাতক গাড়িটির কোনও নম্বর প্লেটও ছিল না। পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানান, অভিযুক্তের বয়স ১৭ হলেও তাঁকে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করার জন্য আদালতে অনুরোধ করা হয়েছিল। এটি একটি ‘জঘন্য অপরাধ’। নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদনও করা হয় পুলিশের তরফে। তবে বিচারক বেদান্তের জামিন মঞ্জুর করেন।

বেদান্তের আইনজীবী বলেন, ‘‘আমার মক্কেলকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে। বিচারক তাঁকে দুর্ঘটনা নিয়ে ৩০০ শব্দের একটি রচনা লিখতে বলেছেন। সেই সঙ্গে ১৫ দিন ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে হবে বেদান্তকে। পাশাপাশি তাঁর মদ্যপানের অভ্যাস ছাড়ানোর জন্য চিকিৎসা করাতে বলা হয়েছে।’’

গ্রেফতারের ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেল বেদান্ত। তবে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল তদন্ত চালিয়ে যাবে। অভিযুক্তের বাবার বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কেন তিনি নম্বর প্লেট ছাড়া গাড়ি নাবালক ছেলের হাতে তুলে দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement