Trainee IAS Puja Khedkar

লালবাতি লাগানো, ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে শিক্ষানবিশ আমলা পূজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ

গত কয়েক দিন ধরেই পূজার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে শোরগোল চলছে। শিক্ষানবিশ আমলা হয়েও কী ভাবে একজন আমলার সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৭
Share:

(বাঁ দিকে) পূজা খেড়কর। (ডান দিকে) বাজেয়াপ্ত হওয়া তাঁর গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।

লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার, ওই গাড়ি নিয়েই একাধিক বার ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন করা— এমনই সব অভিযোগে এ বার শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়করের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল পুলিশ। রবিবার বাজেয়াপ্ত করা হল তাঁর গাড়ি।

Advertisement

পূজার বিরুদ্ধে ২১ বার ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। তার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবারই পুণের আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর (আরটিও) পূজাকে নোটিস পাঠিয়েছিল। ২৭ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে। এ বার তাঁর ব্যবহার করা সেই গাড়িটিকেই বাজেয়াপ্ত করল পুণে পুলিশ।

বিতর্কের সূত্রপাত ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে। গাড়িতে লালবাতি লাগিয়ে কেন ঘুরছেন, কেন তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে মহারাষ্ট্র সরকারের স্টিকার লাগানো তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠে পূজার বিরুদ্ধে। আর তার পর থেকেই বিতর্ক আরও বেড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পূজার চাকরি পাওয়ার কৌশল নিয়েও। যদিও ইতিমধ্যেই পূজার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্তকমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। তবে এত বিতর্কের মাঝে কন্যার পাশেই দাঁড়িয়েছেন পূজার বাবা দিলীপ খেড়কর। পাল্টা তিনি দাবি করেছেন, বিষয়টিকে বড় আকার দেওয়ার জন্য অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

Advertisement

পূজার বিরুদ্ধে যখন একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে, যখন তাঁর ‘কীর্তি’ নিয়ে শোরগোল চলছে, তার মধ্যেই পূজার মা মনোরমা খেড়করের পুরনো একটি ভিডিয়ো সেই বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে শুক্রবার। এ বার আরও একটি অভিযোগ উঠেছে পূজার মায়ের বিরুদ্ধে। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে তাঁকে নোটিস দিয়েছে পুণে নগর নিগম।

গত কয়েক দিন ধরেই পূজার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে শোরগোল চলছে। শিক্ষানবিশ আমলা হয়েও কী ভাবে একজন আমলার সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী এক জন শিক্ষানবিশ আমলা পদোন্নতির পরে ‘গেজেটেড অফিসার’ হলেই উক্ত সুবিধাগুলি পেয়ে থাকেন। কিন্তু পূজা সে সবের পরোয়া না করেই ওই দাবি জানান এবং না পেয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসকের চেম্বার দখল করে নিজের নামের ফলক লাগিয়ে দেন। নিজের নামে লেটারহেড, ভিজ়িটিং কার্ড, পেপারওয়েট, সিলমোহরের স্ট্যাম্প এবং ইন্টারকমেরও দাবি করেন পূজা। ওই সব সুবিধা পূজাকে দেওয়ার জন্য তাঁর ‘প্রাক্তন আমলা’ বাবা পুণের জেলাশাসককে ফোন করে চাপও দেন বলে অভিযোগ। এর পরেই পূজাকে বদলি করা হয় পুণে থেকে ওয়াসিমে, একটি আপাত-গুরুত্বহীন পদে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement