পুণের ভাটঘর বাঁধ। — ফাইল ছবি।
বাবার সঙ্গে বাঁধের জমা জলে স্নান করতে নেমেছিল ১৩ বছরের ঐশ্বর্যা। কিন্তু বুঝতে পারেনি জলের গভীরতা কতটা। সেই জলেই ডুবে মৃত্যু হল ৪৫ বছরের শিরীষ ধর্মাধিকারী এবং মেয়ে ঐশ্বর্যার। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণের ভাটঘর বাঁধে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার পুণের ভোর তহসিলের পাসুরে গ্রামে পরিবার নিয়ে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন শিরীষ। পাসুরে গ্রামের পাশেই ভাটঘর বাঁধ। ওই এলাকায় পিকনিক করতে যাওয়ার চল রয়েছে। সেখানেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে মেয়েকে নিয়ে জলে নামেন শিরীষ। কিছু ক্ষণের মধ্যেই দু’জনে তলিয়ে যান। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাঁধের জলে স্নান করতে নেমেই বিপত্তি ঘটে। দু’জনের কেউ সাঁতার জানতেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘তদন্তে উঠে এসেছে, জলে নেমে বাবা, মেয়ে খেলা করছিলেন। খেলতে গিয়েই ডুবে যান তাঁরা। ডুবে যাওয়ার আগে চিৎকার করে বাঁচানোর আবেদনও জানিয়েছিলেন শিরীষ এবং ঐশ্বর্যা। কিন্তু তাঁদের বাঁচানো যায়নি। খবর পেয়ে আমরা তল্লাশিতে নামি।’’
সাঁতার না জেনে জলে নামাই কি কাল হল বাবা, মেয়ের? না কি তাঁরা দু’জনেই সাঁতার জানতেন? একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ডুবে যাওয়ার খবর পেয়েই উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। কিছু ক্ষণ তল্লাশির পর উদ্ধার হয় ঐশ্বর্যার নিথর দেহ। পর দিন সকালে উদ্ধার হয় শিরীষের দেহ।