পূজা খেড়কর। —ফাইল চিত্র।
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়করের। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে উঠল ভুয়ো রেশন কার্ড বানানোর অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, সেই রেশন কার্ড ব্যবহার করেই পূজা নিজেকে ‘বিশেষ ভাবে সক্ষম’ বলে দাবি করেছিলেন!
ক্ষমতার অপব্যবহার, ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে সংরক্ষণের সুযোগ নেওয়া-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছিল পূজার বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ইউপিএসসিতে সংরক্ষণের সুযোগ নেওয়া জন্য তিনি দু’টি শংসাপত্র দাখিল করেছিলেন। ২০১৮ সাল এবং ২০২১ সালের জারি করা শংসাপত্রগুলি নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। তার পর আরও একটি শংসাপত্র প্রকাশ্যে আসে। ২০২২ সালে পুণের একটি হাসপাতালে ‘বিশেষ ভাবে সক্ষম’ সংক্রান্ত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন পূজা। আর আবেদনপত্রে তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন তা সম্পূর্ণ ভুয়ো!
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ২৪ অগস্ট ওই শংসাপত্র জারি করা হয়েছিল। সেখানে বাড়ি ঠিকানা হিসাবে পুণের একটি প্লটের উল্লেখ করেছিলেন পূজা। কিন্তু আদৌ ওই প্লটে কোনও বাড়ি নেই। সেখানে রয়েছে একটি ইঞ্জিনিরায়িং সংস্থা। পূজার বিলাসবহুল গাড়িতে অবৈধ ভাবে লাল বাতি লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাচক্রে, সেই গাড়িটি ওই ইঞ্জিনিরায়িং সংস্থার নামে নথিভুক্ত করা রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘বিশেষ ভাবে সক্ষম’ শংসাপত্র তৈরি করতে পূজা তিনটি নথি দাখিল করেছিলেন। তার মধ্যেই ছিল একটি রেশন কার্ড। কিন্তু সেই রেশন কার্ডও ভুয়ো। নিয়োগের আগে ২০২২ সালে এমসে প্রতিবন্ধকতার পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হলেও একাধিক বার পূজা তা এড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও তিনি কী ভাবে চাকরি পেলেন, উঠছে প্রশ্ন।