পূজা খেড়কর। ফাইল চিত্র।
আরও বিপাকে শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়কর। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং বিতর্কের মাঝেই এ বার পূজাকে তলব করল লালবাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। শুধু তা-ই নয়, তাঁর প্রশিক্ষণও আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর এই প্রথম তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ করা হল। প্রশাসনিক দফতর (জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট)-এর তরফে পূজাকে পাঠানো নোটিসে বলা হয়েছে, তাঁর প্রশিক্ষণ পর্ব আপাতত স্থগিত করা হল।
ক্ষমতার অপব্যবহার, ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে সংরক্ষণের সুযোগ নেওয়া-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছিল পূজার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত চলাকালীনই পূজাকে উত্তরাখণ্ডের মুসৌরিতে আমলাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে তলব করা হয়েছে। ফলে পূজার বিপদ আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
চাকরির জন্য ইউপিএসসিতে যে সব শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন পূজা, সেই সব শংসাপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমবিবিএস পড়ার সময়ে পূজা ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবহার করেছিলেন, তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কোনও বিষয় সামনে আসেনি, শংসাপত্র নিয়ে বিতর্কের মাঝে এমনই দাবি করেছেন পুণের কাশীবাই নাভালে মেডিক্যাল কলেজের ডিরেক্টর অরবিন্দ ভোরের।
পূজার বিরুদ্ধে আগেই ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, ইউপিএসসি পরীক্ষায় তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত সংরক্ষণের সুযোগ নিয়েছিলেন। অথচ মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময়ে জাতিগত সংরক্ষণের সুবিধা নিতে ওবিসি নোম্যাডিক ট্রাইব-৩ ক্যাটেগরিতে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। যা শুধুমাত্র বঞ্জারী সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত থাকে। কলেজের ডিরেক্টরের দাবি, ২০০৭ সালে ভর্তির সময়ে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট পূজা জমা দিয়েছিলেন, সেখানে প্রতিবন্ধকতার কোনও উল্লেখ ছিল না। তবে ২০২২ সালে আংশিক প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন।
নিয়োগের আগে ২০২২ সালে এমসে প্রতিবন্ধকতার পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হলেও একাধিক বার পূজা তা এড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও তিনি কী ভাবে চাকরি পেলেন, উঠছে প্রশ্ন। পূজা অবশ্য দাবি করেছেন, সংবাদমাধ্যম যে ভাবে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছে, তা ঠিক নয়। পূজা জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটির সামনে শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছেন। কমিটি যে রিপোর্ট দেবে, মেনে নেবেন।