গুয়াহাটিতে ‘খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস ২০২০’-র উদ্বোধন করার কথা নরেন্দ্র মোদীর।—ফাইল চিত্র
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে এমনিতেই ফুটছিল অসম। বুধবার সেই উত্তাপ আরও বেড়েছে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে। এর মাঝে, আগামী ১০ জানুয়ারি গুয়াহাটিতে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সেখানে তিনি যাচ্ছেন না বলেই সূত্রের খবর। ওই দিন গুয়াহাটিতে ‘খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস ২০২০’-র উদ্বোধন করার কথা তাঁর।
খেলো ইন্ডিয়া গেমসের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অবিনাশ জোশির কথায়,‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তাতে সম্মতি দেওয়া হয়নি। তবে, আমাদের মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে যে তিনি আসছেন না।’’
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক এবং অসম সরকারকে প্রধানমন্ত্রীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে পারবেন না। সেই জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে অসমের বিজেপি মুখপাত্র দেওয়ান ধ্রুবজ্যোতি মারালের মন্তব্যে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘তাঁর সফর বাতিল হয়েছে। রাজ্য সরকার ওঁকে অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু, তিনি সময় দিতে পারবেন না।’’ সূত্রের খবর, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দরজাতেও কড়া নেড়েছিল সর্বানন্দ সোনওয়ালের সরকার। সূত্রের খবর, তিনিও ওই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী অসম সফরে আসতে পারেন এই খবর পেয়েই তাঁকে বিক্ষোভ দেখানোর কথা ঘোষণা করেছিল অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন(আসু)। অবশ্য এই প্রথম নয়। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর গুয়াহাটিতে ইন্দো-জাপান শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তা-ও শেষ পর্যন্ত এড়িয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। বাতিল করে দেওয়া হয় ওই সম্মেলন। সিএএ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই তপ্ত অসম। বিক্ষোভ-প্রতিবাদ লেগেই রয়েছে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ওই আইন পাশ হওয়ার পর সেই বিক্ষোভের পালে নতুন করে হাওয়া লেগেছে।
২০১৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে খেলো ইন্ডিয়া গেমস। এ বার তা তিন বছরে পা দিল। ১০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই গেমস চলার কথা।