ফাইল চিত্র।
রোমিলা থাপারের পরে এ বার মুখ খুললেন বিজ্ঞানী তথা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক আশিস দত্ত। রোমিলা থাপার-সহ ১২ জন ৭৫ বছরের উর্ধ্বে থাকা এমিরেটাস অধ্যাপকের কাছে তাঁদের কাজের খতিয়ান চেয়ে পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। তাঁদের মধ্যে আশিসবাবু অন্যতম। তিনি রেজিস্ট্রারকে চিঠি লিখে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন বলে দাবি শিক্ষক সংগঠনের।
১৯৭০ সালে আমেরিকায় চাকরি ছেড়ে জেএনইউতে যোগ দেন আশিসবাবু। বিজ্ঞানী হিসেবে শান্তিস্বরূপ ভটনগর পুরস্কার ছাড়াও সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মান। প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান জাতীয় জিনোম গবেষণা সংস্থার। বর্তমানে ওই সংস্থায় গবেষণা করছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, এমন এক জন ব্যক্তির কাজের খতিয়ান চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। সংগঠনের মতে, কোনও একটি সম্মানিত পদে থাকার জন্য এ ভাবে প্রমাণ দিতে হবে তা ভাবতেও পারেননি আশিসবাবু।
আজ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারেও বিষয়টি নিয়ে সরব হন বাম প্রার্থীরা। তবে আজ মোটের উপর শান্তিতে নির্বাচন শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গণনা শুরু হবে আজ রাত বা কাল সকাল থেকে। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফলপ্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
তাঁদের মনোনয়ন বেআইনি ভাবে খারিজ করা হয়েছে বলে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন দুই পড়ুয়া। তাঁরা আর্জিতে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিটি কোনও কারণ না দেখিয়েই তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করেছেন। মামলা গ্রহণ করে এ দিন জেএনইউ-কে নোটিস পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর। তাই সে দিন পর্যন্ত ফল প্রকাশের না করার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।