ফাইল ছবি।
সোমবার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে করোনা ছড়ানোর পিছনে কংগ্রেসকে দায়ী করেছিলেন। তৎক্ষণাৎ তার জবাব দিল কংগ্রেস। গোয়ায় প্রচাররত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী পাল্টা খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘‘আপনার অতিকায় জনসভাগুলো নিয়েও কিছু বলুন!’’ পাশাপাশি প্রশ্ন করলেন, ‘‘গরিবকে সাহায্য করা হোক, এটা কি প্রধানমন্ত্রী চান না?’’
সোমবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কংগ্রেস পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে বিনামূল্যে ট্রেনের টিকিট তুলে দিয়েছিল। এর ফলে শ্রমিকরা মহারাষ্ট্র ছেড়ে বাড়ি ফেরেন। তাতেই পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রিয়ঙ্কার পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘গরিবকে সাহায্য করা হোক, তা কি প্রধানমন্ত্রী চান না, এমন একটা পরিস্থিতিতে যখন শ্রমিকরা পায়ে হেঁটেই বাড়ির পথ ধরেছিলেন? মোদীজি আপনি কী চান?’’ এর পরই তুমুল করোনা সংক্রমণের মধ্যে মোদীর জনসভা নিয়েও কটাক্ষের সুর প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর গলায়। তিনি বলেন, ‘‘মোদীজি, আপনি যে অতিকায় সব জনসভাগুলো করেছিলেন, সেগুলি নিয়েও কিছু বলুন!’’
সোমবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপনে বলতে উঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কংগ্রেস সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে। প্রথম বার যখন করোনা সংক্রমণ শিখরে পৌঁছয়, তখন দেশে লকডাউন ঘোষিত হয়েছিল। এমন কি হু (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) পর্যন্ত আবেদন জানাচ্ছিল, যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। কিন্তু কংগ্রেস মুম্বইয়ের রেল স্টেশনে গিয়ে নিষ্পাপ লোকজনকে ভয় দেখাতে শুরু করল। তারা মানুষকে ঘরে ফেরার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। এর ফলে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ আর উত্তরাখণ্ডে ঝড়ের গতিতে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।’’ একে মোদী ‘পাপ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
তারই জবাবে পাল্টা বাণ ছুড়লেন প্রিয়ঙ্কা। প্রশ্ন তুললেন, তুমুল করোনা সংক্রমণকে অগ্রাহ্য করে কেন মোদী বাংলায় একের পর এক জনসভা করেছিলেন?
প্রসঙ্গত, গোয়ায় ভোট উপলক্ষে কংগ্রেস কর্মী ও ভোটাদাতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গোয়া সফর করছেন প্রিয়ঙ্কা। আহামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণের রাজ্যে ভোট। ফল ঘোষণা ১০ মার্চ।