ফাইল চিত্র।
গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী রসিকতার সুরে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়কে বলেছিলেন, তিনি (সৌগত) অবসর নেওয়ার পরে রাজ্যপাল বদলের কথা ভাবা যাবে! আজ হাসতে হাসতেই ফের সৌগতবাবুকে কটাক্ষ করতে মোদীকে দেখা গেল লোকসভায়। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে দু’দিন ব্যাপী আলোচনা শেষ হওয়ার পর আজ প্রধানমন্ত্রী বলতে ওঠেন। উজ্জ্বলা যোজনা নিয়ে কেন্দ্রের কৃতিত্ব ব্যাখ্যা করছিলেন মোদী। তাঁর কথায়, উনুন থেকে মুক্তি পেয়েছেন দেশের মহিলারা। এর আনন্দই আলাদা।
এমন সময়ে নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করে কিছু বলার চেষ্টা করতে থাকেন সৌগতবাবু। স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, “আপনি আসনে বসুন। আপনাকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।” এমন সময়ে প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, “দাদাকে মাঝে মাঝেই সুযোগ দেওয়া উচিত। দাদা এই বয়সেও বালখিল্য আচরণ করে মজা পান!” তাঁর এ হেন মন্তব্যে কক্ষে হাসির রোল শোনা যায়। সৌগতবাবুকেও দৃশ্যত কিছুটা বিব্রত দেখায়। তিনি বসে পড়েন।
তার কিছুক্ষণ আগেই জিরো আওয়ারে অবশ্য সরকারকে এক হাত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রবীণ সাংসদ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নিয়ে বলতে উঠে সৌগত রায় সরাসরি অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে রয়েছেন। তাঁর রাজ্যপালদের নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার রয়েছে। তিনি কি বলতে পারেন না রাজ্যপালকে টুইট করা বন্ধ করতে? রাজ্যের প্রত্যেক দিনের কাজে নাক না গলাতে? যদি এ রকমই চলতে থাকে, তা হলে দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আর থাকবে না।” সৌগতবাবুর কথায়, “বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়া বিল রাজ্যপাল ফিরিয়ে দিচ্ছেন। রাজ্যের পুলিশ কর্তা, মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠাচ্ছেন।”