প্রিয়ঙ্কা-নিক
অসমের বন্যায় অর্থসাহায্য পাঠালেন এক সময় রাজ্যের প্রাক্তন পর্যটন দূত প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং তাঁর স্বামী নিক জোনাস। নিজের টুইটারে বাকিদের প্রতিও অসমের বন্যাকবলিত মানুষ ও বানভাসি কাজিরাঙার পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানালেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি লেখেন, বিশ্ব যখন করোনা অতিমারির সঙ্গে লড়ছে তখনই অসমকে একইসঙ্গে লড়তে হচ্ছে ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে। সেই বন্যায় বহু মানুষ ও পশুর মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। বিশ্বের অন্যতম সেরা অরণ্য কাজিরাঙাও জলে ডুবে গিয়েছে। অসমের এখন সকলের সাহায্য খুব দরকার।
এ দিকে ময়ূরী ভট্টাচার্য নামে শোণিতপুরের এক মহিলা দাবি করেছেন বন্যার সময়ে ত্রাণ সামগ্রীর তালিকায় রাখা হোক স্যানিটারি ন্যাপকিন। বিষয়টি নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচারও শুরু করেছেন তিনি। তিনি বলেন, বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ার সময় মহিলাদের পক্ষে স্যানিটারি প্যাড জোগাড় করে পালানো সম্ভব নয়। ত্রাণ শিবিরে এত জনের সঙ্গে থাকার সময়ে প্যাডের অভাবে তাঁদের অস্বাস্থ্যকর উপায় অবলম্বন করতে হয়। তাই সরকারের উচিত স্যানিটারি প্যাডকে অবশ্যই ত্রাণ সামগ্রীর অন্তর্ভুক্ত করা।
অসমে এখন ২২টি জেলা বন্যা কবলিত। বানভাসি ২২ লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষ। বন্যায় মারা গিয়েছেন ১০৩ জন। ২৫৯টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ। কাজিরাঙার ২২৩টি বন শিবিরের মধ্যে ৬২টি জলমগ্ন। ১৪টি গন্ডার, ৯৮টি হগ ডিয়ার-সহ ১৩২টি পশুর মৃত্যু হয়েছে।