রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ফাইল চিত্র।
সদ্য হাঙ্গামার মধ্যে সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হয়েছে। বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা কর্মী নামিয়ে বিরোধীদের আটকে বিল পাশ করানোর অভিযোগ তুলেছেন। উল্টো দিকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রীরা বিরোধীদের দিকে সংসদের নিরাপত্তা কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ তুলেছেন।
এই প্রেক্ষিতে ৭৫-তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শনিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁর রাষ্ট্রের উদ্দেশে বক্তৃতায় সংসদকে ‘দেশের গণতন্ত্রের মন্দির’ বলে উল্লেখ করলেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তৃতায় মনে করিয়েছেন, সংসদই দেশের মানুষের কল্যাণের বিষয়ে আলোচনা, বিতর্ক ও নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ মঞ্চ। রাষ্ট্রপতির বক্তব্য, পশ্চিমের অনেক দেশের আগে ভারত সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ককে ভোটাধিকার দিয়েছিল। মানুষের প্রজ্ঞার উপরে আস্থা রেখেছিলেন দেশের প্রতিষ্ঠাতারা। আমরা সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
রাষ্ট্রপতির মন্তব্যকে বিরোধীদের প্রতি বার্তা হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক শিবির। যদিও বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে অনড়। আজ সিপিআইয়ের রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় বিশ্বম সেক্রেটারি জেনারেলকে চিঠি লিখে বিমা বিল পাশের সময়ের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, সরকারের দিক থেকে বিরোধীদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তাই সংসদের সম্পত্তি—রাজ্যসভার সিসিটিভি ফুটেজ, অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস করা হচ্ছে। সংসদের নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়ে মিথ্যে অভিযোগপত্র লেখানো হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যসভায় বহিরাগতদের মার্শাল হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। চার-পাঁচ জন তাঁর উপরে হামলা চালিয়েছে। রাষ্ট্রপতি তাঁর বার্তায় বলেছেন, শীঘ্রই নতুন ভবনে সংসদ বসবে। স্বাধীনতার ৭৫-তম বছরে নতুন ভবনের উদ্বোধন হবে। তা-ও প্রতীকি। কোভিড সঙ্কট নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি ব্যথিত যে, অভূতপূর্ব সঙ্কটে অনেক প্রাণ বাঁচানো যায়নি।’’