শুধু বাংলা নয়, আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বক্তৃতায় জায়গা পেল কেরল, অসম এবং বাংলার তিন কবির লাইন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় অধুনা বঙ্গ মনীষীদের বাণীর প্রাচুর্য। আজ সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতির বক্তব্যেও বঙ্গসন্তানের গান উঠে এল। তবে শুধু বাংলা নয়, আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বক্তৃতায় জায়গা পেল কেরল, অসম এবং বাংলার তিন কবির লাইন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই তিনটি রাজ্যেই বিধানসভা ভোট আসন্ন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তৃতার একেবারে শেষ প্রান্ত এসে দেশাত্মবোধের প্রসঙ্গ টেনে উদ্ধৃত করেছেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি গান। তাঁর কথায়, ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর পশ্চিমবঙ্গের এক কৃতি সন্তান। পশ্চিমবঙ্গ প্রতিভা, আধ্যাত্মিকতা এবং মননশীলতার ভূমি। তিনি একটি শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী গান লিথে গিয়েছেন।’ এর পর তিনি বাংলায় তাঁর মতো করে উচ্চারণ করেন, ‘চল রে চল সবে ভারতসন্তান/ মাতৃভূমি করে আহ্বান/ বীরদর্পে পুরুষ গর্বে/ সাধ রে সাধ সবে, দেশের কল্যাণ।’ এর আগে ভোটের কথা মাথায় রেখে রবীন্দ্রনাথ, ঋষি অরবিন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্রের কথা নানা ভাবে বলেছেন মোদী। এমনকি বিস্মৃতপ্রায় কবি মনমোহন বসুর কবিতাও আবৃত্তি করেছেন। আজ রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা শোনা গেল। পাশাপাশি ভোটমুখী বাংলার কথা মাথায় রেখে আর্থিক সমীক্ষায় রাখা হল রবীন্দ্রনাথের পংক্তি, ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির’।
আজ রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তৃতার শুরুতেই ঐক্যবদ্ধ ভারতের কথা বোঝাতে গিয়ে অসমের কবি অম্বিকাগিরি রায়চৌধুরির দু’টি পংক্তি উদ্ধৃত করেছেন। ওই পংক্তিতে বলা রয়েছে, ভারতের গৌরব হল একতায়। মালয়ালম কবি ভাল্লাথোল-এর একটি জাতীয়তাবাদী পংক্তিও তুলে এনেছেন কোবিন্দ। সেই লাইনটির অর্থ, যেখানে তুমি ভারতের নাম শুনবে, তোমার হৃদয় গর্বে ফুলে উঠবে।
ভোটের মুখে দাঁড়ানো আর এক রাজ্য তামিলনাড়ুর কোনও কবির নাম অবশ্য আজ ওঠেনি রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায়। তবে তুতিকোরিন-রামনাথপুরম গ্যাস পাইপলাইনের উল্লেখ করে কোবিন্দ বলেছেন, এর ফলে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে গ্যাস সংযুক্তি ঘটবে। একই ভাবে ধোবি-দুর্গাপুর গ্যাস পাইপলাইনের কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে গ্যাস পৌঁছতে সাহায্য করবে এই প্রকল্প।