প্রায় তিন দশক ধরে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছেন প্রতিভা হিলিম। ছবি: সংগৃহীত
দুই হাত-পা নেই। তবুও কনুইয়ে চক বেঁধে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখছেন, কখনও পেন বেঁধে সাদা কাগজে লিখছেন। সাল ২০১৯। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, ডান হাতের গোড়ায় পচন ধরেছে। সমস্যার সমাধান একটাই। ডান হাতটি কেটে বাদ দিতে হবে। প্রতিভা হিলিম তখন নিশ্চুপ। মুম্বই শহর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে কার্হে এলাকার বাসিন্দা তিনি। প্রায় তিন দশক ধরে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করে আসা প্রতিভার সামনে তখন শুধুই অন্ধকার।
এখানেই শেষ নয়, ডান হাত বাদ যাওয়ার কিছু দিন পর জানতে পারেন, সারা শরীরে এই পচন ছড়িয়েছে। তাই দুই পা-সহ বাঁ হাতটিও বাদ পড়বে। ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণের ফলে দেহের ভিতরের প্রতিটি কোষ এক এক করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তবুও তিনি হেরে যাননি। অতিমারিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে প্রতিভা তাঁর বাড়িতেই ৪০ জন পড়াতে শুরু করেন। এদের মধ্যে কেউ দিনমজুরের সন্তান, আবার কারোর বাবা-মায়ের পড়ানোর সাধ্যটুকুও নেই। নিজের এই প্রতিবন্ধকতার কারণে পেশা থেকে সরে আসেননি প্রতিভা। বরং এই বাচ্চাদের পড়িয়ে তিনি নিজেকে এক জন শিক্ষিকা হিসাবেই সমাজে তুলে ধরতে চান।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।