প্রশান্ত কিশাের এবং নীতীশ কুমার। ফাইল চিত্র।
বুধবার বিরোধী জোটে প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকের ‘সম্ভাব্য ভূমিকা’ সম্পর্কে নীতীশ তাঁর নাম না করেই জানিয়েছিলেন, এক জন প্রচার বিশেষজ্ঞ হিসাবে তিনি পরবর্তী নির্বাচনে বিজেপিকেও সাহায্য করতে পারেন। বুধবার দুপুরেই তার পাল্টা মোদীর সঙ্গে নীতীশের নানা হাসিখুশি মুহূর্তের চারটি ছবি টুইট করেন প্রশান্ত কিশোর। কিছু সময় পরে অবশ্য ওই টুইটটি আর দেখা যায়নি। মনে করা হচ্ছে ওই টুইটটি ডিলিট করা হয়েছে।
ছবিগুলোর একটিতে নীতীশ মোদীকে নীচু হয়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন। আরও দু’টি ছবিতে নীতীশকে মোদীর সামনে হাত জড়ো করে নমস্কার জানাতে দেখা যাচ্ছে। আর একটি ছবিতে পাশাপাশি বসে হাসতে দেখা যাচ্ছে মোদী এবং নীতীশ কুমারকে।
বুধবার রাতে বিরোধী জোটে পিকের ‘সম্ভাব্য ভূমিকা’ সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে নীতীশ বলেন, ‘‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করাই ওঁর ব্যবসা। বিহারে আমাদের জন্য ওঁর কিছু করার নেই।’’ এর পরেই পিকে সম্পর্কে ‘প্রচার বিশেষজ্ঞ’ বিশেষণ ব্যবহার করে নীতীশ বলেন, ‘‘উনি বিভিন্ন বিবৃতি দিচ্ছেন। হতে পারে তিনি বিজেপির সঙ্গে থাকতে চান। হতে পারে, তিনি তাদের সাহায্য করতে চান।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে নীতীশের এই মন্তব্যে আঁচ পাওয়া যাচ্ছে, আগামী লোকসভা ভোটে পিকের ‘সাহায্য’ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই বিজেপির সঙ্গত্যাগ করে নীতীশ আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেদের হাত ধরেছেন। তার পর তাঁকে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে। অবশ্য নীতীশের শিবির বদলানো নিয়ে পিকে জানিয়েছিলেন, এর ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব পড়লেও জাতীয় রাজনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। একদা নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ প্রশান্ত কিশোর ২০২০ সালে জেডি (ইউ) থেকে বহিষ্কৃত হন। কিছু মাস আগেই পিকে জানিয়েছিলেন, তিনি নতুন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিহার থেকেই শুরু করতে চলেছেন।