নীতীশকে আক্রমণ করলেন পিকে। —ফাইল চিত্র।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন। কোন পথে যাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। শুধু বিজেপির নির্দেশ শিরোধার্য করছেন তিনি। ঠিক এ ভাবেই নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করলেন তাঁর দলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি তথা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। শনিবার বিহারের পূর্ব চম্পারণে একটি সভা থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে একের পর এক আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন জেডি(ইউ) নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘জেডি(ইউ) নেতারা রাজনৈতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিজেদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলছেন। নীতীশ কুমার এক প্রকার মোহে পড়়েছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে বার্ধক্য গ্রাস করেছে।’’
ভোটকুশলী প্রশান্ত এক সময় নীতীশের দলের হয়ে ভোটের নকশা তৈরি করেছেন। পরে তাঁর দলেও যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে মতপার্থক্য হওয়ায় দূরত্ব বাড়ে। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রশান্তকে বহিষ্কার করে নীতীশের দল। বিহারের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে নীতীশকে একহাত নেন পিকে। তাঁর কথায়,‘‘বয়স ধীরে ধীরে নীতীশজির উপর প্রভাব ফেলছে। তিনি একটা কিছু বলতে চান। কিন্তু বলছেন অন্য কিছু। নীতিশজি আগে বলেছিলেন, আমি বিজেপির এজেন্ডায় কাজ করছি। আবার এ-ও বলেছেন, আমি নাকি তাঁকে বলেছিলাম যে তাঁর দল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাক। এই দু’টি জিনিস এক সঙ্গে কী ভাবে সম্ভব? আমি যদি বিজেপির এজেন্ডায় কাজ করি, তা হলে আমি কেন জেডিইউকে কংগ্রেসের সঙ্গে এক হয়ে শক্তিশালী করতে বলব? দ্বিতীয়টি যদি সত্য হয়, প্রথমটি সঠিক হবে না। কিন্তু উনি বলছেন। আসলে ওঁর বয়স বাড়ছে।’’
প্রসঙ্গত, বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পরে গত ১০ অগস্ট আবার বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’-এ ফিরেছেন নীতীশ। এ নিয়ে একাধিক বার তাঁকে কটাক্ষ করেছেন পিকে। তিনি দাবি করেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আবার তাঁরে দলে যোগ দিতে আবেদন করেছেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এ-ও দাবি করেছেন, নীতীশ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়লেও ছেড়ে আসা দলে আর যাবেন না। এর প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেননি নীতীশ। তিনি দাবি করেন, এমন কোনও আলোচনা তাঁর সঙ্গে হয়নি। পিকে মিথ্যা দাবি করছেন।