প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিদ্যুৎ বিল প্রতারণা মামলা চার আধিকারিককে অভিনব ‘শাস্তি’ দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। ওই চার আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বারাণসীর দু’টি অনাথ আশ্রমে শিশুদের নিজের খরচে খাওয়াতে হবে।
ঘটনার সূত্রপাত দু’লক্ষ টাকার একটি বিদ্যুৎ বিলকে কেন্দ্র করে। উমাশঙ্কর যাদব নামে এক গ্রাহককে ২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার বিল পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের চার শীর্ষ আধিকারিক। ১৯১১ সাল থেকে ওই গ্রাহক বিদ্যুতের বিল দিচ্ছেন না বলেও জানানো হয় বিদ্যুৎ দফতর থেকে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল পেয়ে দিশাহারা অবস্থা হয়ে উমাশঙ্করের।
তিনি বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু অভিযোগ, তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকাই তাঁকে শোধ করতে হবে। বিদ্যুৎ দফতরে বার বার ঘুরেও কোনও কাজ না হওয়ায় উমাশঙ্কর তথ্যের অধিকার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সেখান থেকেও সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় রাজ্য তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন তিনি।
এর পরই রাজ্য তথ্য কমিশন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই চার আধিকারিক দোষী সাব্যস্ত হন। রাজ্য তথ্য কমিশনার অজয় কুমার উপার্তি জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বার ওই চার আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতি বারই তাঁরা কমিশনের সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। গত মঙ্গলবার আবারও চার আধিকারিককে তলব করা হয়। কমিশনের দফতরে হাজির দেন অভিযুক্ত আধিকারিক সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অনিল বর্মা, এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরকে গৌতম, সাব ডিভিশনাল অফিসার সর্বেশ যাদব এবং রবি আনন্দ। কমিশনারের কাছে তাঁরা এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চান। এবং জানিয়ে দেন, বিলের অর্থের পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।
কমিশনার জানিয়েছেন, চার আধিকারিক এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তবে তাঁদের ‘শাস্তি’ও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বারাণসীর দুই অনাথ আশ্রমে শিশুদের খাওয়াতে হবে।