হিরেন মনিসুখ এবং সচিন ওয়াজে। ফাইল চিত্র।
খুনের আগে জোর করে ক্লোরোফর্ম দিয়ে সংজ্ঞাহীন করা হয়েছিল মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছে গাড়িতে বিস্ফোরক রাখার ঘটনার সন্দেহভাজন মনসুখ হিরেনকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই মন্তব্য করা হয়েছে বলে জানাল মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশের বাড়ির বাইরে রাখা একটি জলপাই রঙের এসইউভি থেকে ২০টি জিলেটিন স্টিক ও একটি হুমকি চিঠি উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গাড়িটি মনসুখের। এরপর ৫ মার্চ মুম্বইয়ের অদূরে ঠাণে এলাকার রেতি বুন্দের ক্রিক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং এটিএস খুন এবং বিস্ফোরক-কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ১৪ মার্চ মুম্বই পুলিশের এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ সচিন ওয়াজেকে গ্রেফতার করে। এরপর গ্রেফতার করা হয় সচিন-ঘনিষ্ঠ সাসপেন্ডেড পুলিশ কনস্টেবল বিনায়ক শিন্দে এবং ক্রিকেট বুকি নরেশ ধারেকে।
এটিএস-এর তরফে গত সপ্তাহে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস রেল স্টেশনের অদূরে জেনারেল পোস্ট অফিসের সামনে তোলা ১৭ ফেব্রুয়ারির ওই ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কালো রঙের মার্সিডিজ গাড়িতে বসে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেছেন সচিন এবং হিরেন। বুধবার সামনে আসা নতুন একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ২৫মিনিট নাগাদ ভিকরোলি হাইওয়ের ফোর্ট এরিয়ার ট্র্যাফিক সিগন্যালের অদূরে এসইউভি রেখে রাস্তা পেরোচ্ছেন মনসুখ। রাস্তার উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই কালো মার্সিডিজ।
সচিনই ওই মার্সিডিজটি চালাচ্ছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। ১৭ তারিখের অন্য একটি ভিডিয়ো ফুটেজে সচিনকে ওই মার্সিডিজ গাড়িতে মুম্বই পুলিশের সদর দফতর থেকে বার হতেও দেখা গিয়েছে। এটিএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভবত সে দিনই সচিনকে এসইউভি-র চাবি হস্তান্তর করেছিলেন মনসুখ। যদিও বিস্ফোরক-কাণ্ডের পর মনসুখ পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের মুলুন্ড এইরোলি অঞ্চলে স্করপিওটি রেখে তিনি একটি ট্যাক্সি করে জাভেরি বাজার এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন। পরদিন জানতে পারেন, গাড়িটি চুরি গিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি থানায় অভিযোগও দায়ের করেন।