সাইবার প্রতারণায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খুইয়েছেন দিল্লির ওই চিকিৎসক। —প্রতীকী চিত্র।
এক জন সেজেছেন আরবিআই অফিসার, এক জন মুম্বইয়ের পুলিশ অফিসার, এক জন শুল্ক দফতরের আধিকারিক এবং এক জন মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার আধিকারিক। একত্রে তাঁরা ধোঁকা দিলেন এক মহিলা চিকিৎসককে। অভিযোগ, সাইবার প্রতারণায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খুইয়েছেন দিল্লির ওই চিকিৎসক।
চিকিৎসকের অভিযোগ, তাঁকে ফোন করেছিলেন প্রতারকেরা। বলেছিলেন তাঁর নামে একটি পার্সেল আছে। সেটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পার্সেলে কী আছে, জানতে চাইলে ফোনের ও প্রান্ত থেকে বলা হয় চিকিৎসকের পাসপোর্ট, কিছু জামাকাপড়, দামি জুতো, কিছু ব্যাঙ্কের নথিপত্র এবং ১৪০ গ্রাম এমডিএমএ পাওয়া গিয়েছে। এটা শোনামাত্র চিকিৎসক জানিয়ে দেন এমন কোনও পার্সেল তাঁর নয়। যার প্রেক্ষিতে ‘আরবিআই অফিসার’ তাঁকে জানান, তা হলে যেন আন্ধেরি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ, এর পর এক মহিলা আন্ধেরি থানার ইন্সপেক্টরের পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করেন ওই চিকিৎসকের সঙ্গে। ভিডিয়ো কলে কথা হয় তাঁদের। চিকিৎসককে বলা হয় তাঁর আধার কার্ড দিয়ে খারাপ কাজকর্ম হয়েছে। ২৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তাই অর্থ তছরুপ মামলায় অভিযোগ দায়ের হবে।
এ সব শুনে তিনি বিভ্রান্ত হয়ে যান বলে জানান ওই চিকিৎসক। তিনি সমস্যা সমাধানের উপায় জানতে চান। তখন তাঁর ব্যাঙ্কের তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এমনকি ভুয়ো পুলিশ অফিসারের কথায় ফিক্সড ডিপোজিটও ভাঙিয়ে ফেলেন। এর পর আরবিআই অফিসারের পরিচয় দিয়ে এক জন যোগাযোগ করে বলেন, আরটিজিএস ফর্ম পূরণ করতে হবে। তারই মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার অফিসারের পরিচয় দিয়ে এক জন ভয় দেখাতে শুরু করেন। এর পর চিকিৎসকের কাছ থেকে সব মিলিয়ে ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা নিয়ে নেন ওই প্রতারকেরা।
চিকিৎসকের অভিযোগের বিবরণ শুনে বিস্মিত হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরাও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।