কাশ্মীরে জি২০ বৈঠকে অংশগ্রহণ নিয়ে চিনের উপস্থিত না থাকা নিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারত। ফাইল চিত্র।
‘বিতর্কিত’ কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনের বৈঠকে অংশ নেবে না বলে আগেই জানিয়েছিল চিন। এ বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল তুরস্কও। এ বার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলল ভারত। জানিয়ে দিল, নিজস্ব ভূখণ্ডে কোথায় তারা বৈঠক আয়োজন করবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশেরই প্রশাসন। অন্য দেশের ‘পরামর্শ’ যে, এ ক্ষেত্রে গ্রহণ করা হবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে। একই সঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে চিনের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে জানানো হয়, দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় থাকা জরুরি।
শুক্রবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “কোনও বিতর্কিত জায়গায় জি২০ বৈঠক আয়োজন করার সিদ্ধান্তের কঠোর বিরোধিতা করছে চিন।” একই সঙ্গে তিনি জানান, এই বৈঠকে চিনের কোনও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন না। জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠকটি এ বার আয়োজিত হবে কাশ্মীরে। ২২ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত উপত্যকার এই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধির যোগ দেওয়ার কথা। এই বৈঠকের জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরকে। ডাল লেক সংলগ্ন শের-ই-কাশ্মীর কনভেনশন সেন্টারে এই বৈঠক হওয়ার কথা।
চিনের এই অবস্থানের পিছনে পাকিস্তানের হাত দেখছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের একাংশ মনে করছেন, কাশ্মীর উপত্যকা নিয়ে বার বার নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে ইসলামাবাদ। ‘মিত্র দেশ’ হিসাবে ভারতের প্রতি পাকিস্তানের কূটনৈতিক অবস্থানের প্রতিফলনই দেখা গিয়েছে বেজিংয়ের ভূমিকায়। তবে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, জি২০ বৈঠকের আয়োজক দেশ হিসাবে দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করবে নয়াদিল্লি। কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না।