বাবুল সুপ্রিয়। —ফাইল চিত্র।
বুধবার ভারত নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছনোর পরই বিলম্ব না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ শামিকে। আর আজ সকালে কংগ্রেস মনে করিয়ে দিল, ২০২১ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ের পর সমাজমাধ্যমে যখন শামিকে ঘিরে কুকথার বন্যা বইছে, একমাত্র রাহুল গান্ধী তাঁর পাশে ছিলেন।
২০২১ সালে রাহুলের সেই টুইটটি-র স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমে আজ পোস্ট করেছেন কংগ্রেস নেতা শ্রীনিবাস বিভি। সেখানে রাহুল লিখেছিলেন, “মহম্মদ শামি, আমরা তোমার পাশে আছি। কিছু মানুষের মন ঘৃণায় ভরা। কারণ, কেউ তাদের ভালোবাসে না। ওদের ক্ষমা করে দাও।”
একুশের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হারের পর শামিকে নিশানা করা হয়। ধর্মীয় পরিচয়কেও টেনে আনা হয় সমাজমাধ্যমে। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, এটি সুপরিল্পিত ভাবে বিজেপি বাহিনীর সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। সে সময়ে শুধু রাহুলই নন, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, এআইএমআইএম-এর নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসিরাও শামির পাশে দাঁড়িয়ে এই ঘৃণা বর্ষণের নিন্দা করেছিলেন।
গতকালের বিজয়ের পর রাহুল গান্ধীও এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “ম্যান অব দ্য ম্যাচ মহম্মদ শামির অসামান্য বোলিং। ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ জেতানো খেলা খেলে তিনি ইতিমধ্যেই এই বিশ্বকাপে স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছেন।”
আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনালের প্রথম বলটি পিচে পড়ার আগেই এ বারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ যে রাজনীতির উঠোনে প্রবেশ করেছে, তার আরও একটি নির্দশন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের সমাজমাধ্যমে করা একটি মন্তব্য। গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ম্যাচের এক ফাঁকে সচিন তেন্ডুলকর এবং ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের মধ্যে বসে থাকতে দেখা যায় বিসিসিআই-এর সচিব তথা অমিত শাহের পুত্র জয়কে।
তৃণমূলে পুরনো নেতাদের বদলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পরিবারতন্ত্রের খোঁচা হজম করতে হয়েছে তৃণমূলকে। আজ জয়কে কটাক্ষ করে ব্যক্তিগত এক্স হ্যান্ডলে বাবুল লেখেন, 'দুই কিংবদন্তির মাঝে জায়গা করে নেওয়া সত্যিই খুব কঠিন কাজ। সাবাশ ভাই জয় শাহ। কোনও পরিবারতন্ত্র, স্বজনপোষণ ছাড়াই শুধুমাত্র মেধা ও কঠোর পরিশ্রমের উপর ভর করেই আপনি শীর্ষ পদে পৌঁছেছেন।’ এই পোস্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে ট্যাগ করেন বাবুল। বিজেপির তরফে পাল্টা প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।