গুনিন পান্ডোখর সরকারের শরণাপন্ন এএসআই অনিল শর্মা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
খুনি কে তা জানতে গুনিনের শরণাপন্ন হলেন এক পুলিশ আধিকারিক। এক কিশোরীকে খুনের ঘটনা তদন্তের ভার পড়ে ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েক জনকে আটক করলেও, আসল খুনি কে, তার সূত্র কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। সেই সূত্র খুঁজতেই শেষমেশ তাঁর পরিচিত এক গুনিনের দ্বারস্থ হন তিনি।
সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরের। গত ২৮ জুলাই ওটাপূর্বা গ্রামে বছর সতেরোর এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয় গ্রামেরই একটি কুয়ে থেকে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও রকম প্রমাণ না মেলায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
আসল খুনি কে, তাঁকে বা তাঁদের খুঁজে বার করতে পুলিশের উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পড়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) অনিল শর্মার উপর। তদন্তে নেমে কোনও সূত্র খুঁজে পাচ্ছিলেন না এএসআই শর্মা। আর সেই রহস্যের সমাধান করতে তিনি ছুটে যান ‘বাবা পান্ডোখর সরকার’-এর কাছে।
সেই গুনিনের কাছে গিয়ে শর্মা বলেন, “বাবা, আসল খুনি কে, বলে দিন।” তার পরই পকেট থেকে বেশ কয়কেটি নাম লেখা একটি চিরকুট বার করেন। কাদের সন্দেহ করছেন, এ প্রসঙ্গে শর্মার কাছে জানতে চান গুনিন পন্ডোখর। শর্মাকে বলেন, “থাক, থাক তোমার চিরকুট আমাকে আর দেখাতে হবে না। আমার কাছে যে নামগুলি রয়েছে, তাঁদের মধ্যে যার নাম বলব না, সে-ই এই রহস্যের সমাধানের সূত্র। তাঁকে ধরলেই খুনিকে ধরতে পারবেন।”
এর পরই কিশোরীর কাকা তিরথ আহিড়বারকে গ্রেফতার করেন শর্মা। তাঁর গ্রেফতারির পর পরই শর্মার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। কিশোরীর কাকার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ তোলেন, গুনিনের পরামর্শেই তিরথকে গ্রেফতার করেছেন শর্মা। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের উপরমহল শর্মাকে সাসপেন্ড করে।