জিতেন্দ্র মহারাজ এবং তাঁর শিষ্যাকে থানায় নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
তিনি সুবক্তা। আক্ষরিক অর্থেই কথা বেচে খান। ধর্মকর্মের কথা বলাই তাঁর পেশা। সেই কথকঠাকুর জিতেন্দ্র মহারাজই নাটকীয় ভাবে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন। বন্ধ ঘরের ভিতরে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেল জিতেন্দ্রকে। মহিলা জিতেন্দ্রর ‘শিষ্যা’ বলে নিজের পরিচয় দিতেন। পুলিশ ডেকে বন্ধ দরজা খুলে জিতেন্দ্রকে হাতেনাতে ধরিয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রীই! এই নিয়ে একটা ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সাজাপুর জেলায়। সেই জেলার মোহন বারদিয়া অঞ্চলে জিতেন্দ্রর বাড়ি। যে মহিলার সঙ্গে তাঁকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায়, তাঁর বাড়ি পার্শ্ববর্তী গুনায়। এই মহিলা জিতেন্দ্রর সোশ্যাল মিডিয়া দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।
রাখি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জিতেন্দ্রর স্ত্রী সীমা শর্মা সম্প্রতি বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেই সময়ই তাঁর কাছে খবর আসে ওই মহিলা জিতেন্দ্রর বাড়িতে আছেন। এই খবর শোনামাত্র সীমা তাঁর ভাইদের নিয়ে মোহন বারদিয়া থানায় উপস্থিত হন। সেখান থেকে পুলিশ নিয়ে তিনি তাঁর শ্বশুরালয়ে পৌঁছন। সেখানেই একটি ঘরের দরজা খুলে উদ্ধার করা হয় জিতেন্দ্র এবং সেই মহিলাকে। ঘর থেকে বেরোনোর সময় খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। জিতেন্দ্রর স্ত্রী চিৎকার করতে শুরু করেন। পাল্টা সেই মহিলা জিতেন্দ্রর স্ত্রীর গালে চড় মারেন। জিতেন্দ্র মহারাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ২৯৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।