Rajastan

Gang rape: গণধর্ষণে বিধায়ক-পুত্রের বিরুদ্ধে শুরু হল তদন্ত

১৫ বছরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে শাসক দলের বিধায়ক-পুত্র-সহ পাঁচ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করল রাজস্থানের দৌসা জেলার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২২ ০৭:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি

১৫ বছরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে শাসক দলের বিধায়ক-পুত্র-সহ পাঁচ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করল রাজস্থানের দৌসা জেলার পুলিশ।

Advertisement

১৫ বছরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ, তার ছবি তোলা এবং ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়-সহ একাধিক অভিযোগ ঘুরে তোলপাড় রাজস্থান। গত কয়েক মাসে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় এমনিতেই বেশ অস্বস্তিতে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। উত্তরপ্রদেশ-সহ বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস বারবার সরব হয়েছে। এ বারে সুযোগ বুঝে আসরে নেমেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেসের শাসনে রাজস্থানে আইনের শাসন নেই। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যে গণধর্ষণের ঘটনায় সক্রিয় হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। গোটা ঘটনার ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’ দাবি করে তারা রাজস্থান সরকারকে চিঠিও দিয়েছে। চাপের মুখে অবশেষে শক্ত হাতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাজস্থান পুলিশ।

বিড়ম্বনার মুখে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ‘বিজেপির মতো’ অপরাধীদের আড়াল করবেন না। দল এ ব্যাপারে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

দৌসার গণধর্ষণের ঘটনায় আলওয়ারের রাজগড় বিধানসভার কংগ্রেস বিধায়ক জোহরিলাল মিনার ছেলে দীপক মিনা মূল অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। দীপক ছাড়াও বিবেক শর্মা নামে আরও এক জনের নামে এই ঘটনায় জড়িত হিসেবে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। বিবেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গণধর্ষণের ঘটনার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতার থেকে নগদ এবং সোনা মিলিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বিবেক।

দৌসার গণধর্ষণের তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মহামাণ্ডবর রোডে একটি হোটেলে নির্যাতিতাকে নিয়ে যায় অভিযুক্তেরা। তাকে গণধর্ষণ করার পাশাপাশি গোটা ঘটনার ছবি তুলে রাখা হয় এবং তা সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে তার থেকে সোনা ও নগদ হাতানো হয়। সোনা উধাওয়ের বিষয়টি নজরে আসার পরে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁরা প্রথমে চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে গোটা ঘটনা সামনে আসে। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সক্রিয় হয় পুলিশও।

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।

যে বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেই বিধায়ক জোহরিলাল মিনার বিরুদ্ধেও ২০১৯ সালে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। তবে পরে তদন্তে দেখা যায়, ওই মহিলা মিথ্যে অভিযোগ করেছেন।

সে যাত্রায় কংগ্রেসের মুখ বাঁচলেও রাজস্থানে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসায় উদ্বেগে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, মাত্র এক বছরে রাজস্থানে ৬৩৩৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতেই স্পষ্ট, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা কোন জায়গায় দাঁড়িয়েছে। বিড়ম্বনার মুখে কংগ্রেস কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনগার, বিজেপি সাংসদ চিন্ময়ানন্দ-সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ এবং তা নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement