—প্রতীকী চিত্র।
বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার একই পরিবারের তিন সদস্যের কঙ্কাল। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালগড়ে। শনিবার ওয়াদা থানার সিনিয়র ইনস্পেক্টর দত্ত কিন্দরে জানিয়েছেন, তিনটি কঙ্কালের মধ্যে দু’টি বৃদ্ধ দম্পতির ও একটি তাঁদের কন্যার বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। ওয়াদা থানা এলাকার নেহরোলি গ্রামে থেকে শুক্রবার ওই তিনটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরেই পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। শুক্রবার সেই পচা গন্ধের তীব্রতা আরও বেড়ে ওঠে। সেই গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়েই এলাকাবাসীদের নজরে আসে, ওই বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পড়ে রয়েছে কয়েক দিন ধরে। তাতে সন্দেহ আরও বাড়ে প্রতিবেশীদের এবং তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ওয়াদা থানার সিনিয়র ইনস্পেক্টর বলেছেন, “ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকর্মীরা বাড়িতে যান। দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। বাড়িতে প্রবেশ করতেই চমকে উঠেছিলেন প্রত্যেকে। বসবার ঘরে দু’টি কঙ্কাল পড়েছিল। দু’টি-ই মহিলার কঙ্কাল বলে ধারণা পুলিশের। পরে বাড়ির স্নানঘর থেকে আরও একটি কঙ্কালের সন্ধান পান পুলিশকর্মীরা। সেটি একটি পুরুষের কঙ্কাল বলে প্রাথমিক অনুমান।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি দেহই সম্পূর্ণ পচে গিয়েছিল। কঙ্কাল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে বিশেষ ভাবে সক্ষম কন্যাকে নিয়ে থাকতেন ব়ৃদ্ধ দম্পতি। বৃদ্ধের বয়স ছিল ৭০, বৃদ্ধার ৬৫। তাঁদের কন্যার বয়স ছিল ৩৫। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, উদ্ধার হওয়া তিনটি কঙ্কাল বৃদ্ধ দম্পতি ও তাঁদের কন্যার। কী ভাবে তাঁদের মৃত্যু হল, কত দিন ধরে দেহগুলি বাড়িতে পড়ে ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ওয়াদা থানা। কঙ্কালগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তিন জনের মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা কিছুটা কাটতে পারে পুলিশের তদন্তকারী দলের।