প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং ছত্তীসগঢ় পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে কোণঠাসা মাওবাদীরা এ বার প্রত্যাঘাত করল বস্তারের অবুঝমাঢ়ে। বুধবার তাদের হামলায় নিহত হয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) বাহিনীর এক হেড কনস্টেবল।
পুলিশ জানিয়েছে, সোনপুর এবং কোহকামেটা থানার সীমানাবর্তী জঙ্গলে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা ‘পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি’ (পিএলজিএ)-র সদস্যদের উপস্থিতির খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করেছিল ডিআরজি এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা বিএসএফের যৌথবাহিনী। বুধবার দুপুর থেকে পাহাড়, জঙ্গলঘেরা এলাকায় দু’পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়।
নিহত বীরেন্দ্রকুমার সোরি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ। ২০১০ সালে ছত্তীসগঢ় পুলিশে কনস্টেবল পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মাওবাদী দমন অভিযানে বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁর পদন্নোতি হয়েছিল হেড কনস্টেবল পদে। প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন সাড়ে ছ’হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী, সরকারি কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতা এবং সাধারণ নাগরিক। তবে গত দু’বছরে সেই সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে। লোকসভা ভোটের পর থেকে যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে নিহত হয়েছেন শতাধিক। কয়েক মাস আগে মাওবাদী কার্যকলাপ দমনের লক্ষ্যে একটি আন্তঃরাজ্য সমন্বয় বৈঠকে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইয়ের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের দাবি, আগামী দু’বছরেরও কম সময়ে দেশ থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হবে মাওবাদী কার্যকলাপ।