প্রতীকী ছবি।
দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারালেন জম্মু ও কাশ্মীরের এক পুলিশ অফিসার। পুলিশ সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আচমকাই একদল দুষ্কৃতী প্রবেশ করে। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এক অফিসার আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অন্য দিকে, দুষ্কৃতীদের মূল পান্ডারও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুনু নামে গ্যাংস্টারের দলকে ধাওয়া করেছিল পুলিশ। সেই দলে ছিল বাসুদেব নামে এক গ্যাংস্টার। পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড তালিকা’য় ছিল সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। পুলিশকে দেখে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বাসুদেব এবং তার দলবল। গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশ করে। পুলিশও সেখানে তাদের কোণঠাসা করে ফেলে।
এর পরই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় বাসুদেবের। তবে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন সাব-ইন্সপেক্টর দীপক শর্মা এবং আরও এক পুলিশ অফিসার। দু’জনকেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীপকের মৃত্যু হয়েছে। অপর জনের চিকিৎসা চলছে।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিন্হা দীপকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর দীপক শর্মার অদম্য সাহস এবং বীরত্বকে কুর্নিশ জানাই। উনি কাঠুয়ায় মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টারকে খতম করতে গিয়ে নিজের প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁর এই বলিদান আমার হৃদয়ে থেকে যাবে। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’’
তিনি আরও জানান, দীপকের প্রতিটি ফোঁটা রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তা ছাড়াও ভয়মুক্ত জম্মু ও কাশ্মীর তৈরি করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর, এমনই জানান মনোজ। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট বা আফস্পা) প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘জম্মু এবং কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের উপর বিশ্বাস করা হত না। কিন্তু সময় পাল্টেছে। এখন এই পুলিশবাহিনীই অনেক অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’’