— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম ভাড়িয়ে খোলা হয়েছিল ব্যাঙ্কের ভুয়ো শাখা। মাত্র দিন দশেক আগেই ঘর ভাড়া নিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল ভুয়ো শাখা। নিয়োগ করা হয়েছিল কর্মী। তাঁদের কারও থেকে ২ লাখ, কারও থেকে ৬ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, গ্রামের সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে জমা নেওয়া হচ্ছিল টাকাও। এক দিকে যেমন কর্মী নিয়োগ করে প্রতারণা, অন্য দিকে গ্রামবাসীদের ভুয়ো ব্যাঙ্ক আমানত করিয়ে ঠকানো— দুই ভাবেই প্রতারণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের শক্তি জেলার।
রায়পুর শহর থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে ছাপোরা গ্রামের ঘটনা। দিন দশেক আগেই ঝা চকচকে করে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল ওই ভুয়ো শাখা। প্রথম দিকে কারও মনেই কোনও সন্দেহ জাগেনি। বিষয়টি প্রথম সন্দেহজনক ঠেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নিকটবর্তী আসল শাখার ম্যানেজারের। গত ২৭ সেপ্টেম্বর পুলিশের পদস্থ কর্তা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা ওই ভুয়ো শাখায় পৌঁছন। তখনই স্পষ্ট হয় গোটা বিষয়টি। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশ দেখে, ওই শাখার কর্মীদের কাছে যে নিয়োগপত্রগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি সব ভুয়ো।
ছত্তীসগড় পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক রাজেশ পটেল জানান, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের থেকেই তাঁরা প্রথম জানতে পারেন ভুয়ো ব্যাঙ্কের বিষয়ে। এর পর তাঁরা তদন্ত করে নিশ্চিত হন, সত্যিই ওই ব্যাঙ্কটি ভুয়ো। জাল নথি ও ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মীও নিয়োগ করা হয়েছিল। ঘটনায় ইতিমধ্যে চার জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন ওই শাখার ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে ছিল বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।