—প্রতীকী চিত্র।
সত্তর বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলায়। শুধু তাই নয়, খুনের পর নির্যাতিতার দেহ দু’দিন ধরে বাড়িতেই ফেলে রেখেছিলেন অভিযুক্ত। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩৫ বছর বয়সি এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে প্রকাশ, অভিযুক্ত মানসিক বিকারগ্রস্ত হতে পারেন বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছেন পুলিশকর্মীরা।
অভিযুক্ত যে বাড়ির মধ্যে এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ও খুন করেছেন, ঘটনার দিন তা প্রতিবেশীদের কেউই টের পাননি। প্রথম তাঁদের সন্দেহ জাগে, বিকট গন্ধ থেকে। সোমবার সকালে অভিযুক্তের প্রতিবেশীরা তাঁর বাড়ির ভিতর থেকে পচা গন্ধ পেতে শুরু করেন। এর পর তাঁরা থানায় খবর দেন। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বাড়ি থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার বাড়ি অভিযুক্তের বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। সদ্য ওই গ্রামে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, ধৃত ব্যক্তি মানসিক বিকারগ্রস্ত। মা ও স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে ওই ব্যক্তি বাড়িতে একাই থাকতেন। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি বৃদ্ধাকে ডেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করেন।
তদন্তকারী দলের এক আধিকারিক বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে উঠে মহিলাকে প্রথমে যৌন নিগ্রহ করা হয়। তার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। দেহে পচন ধরতে শুরু করেছিল। ফলে আমাদের অনুমান দু’দিন আগেই তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে।”