— প্রতীকী চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকে হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি আরও জোরালো হয়েছে। এরই মধ্যে ফের এক মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ। ঘটনাস্থল তেলঙ্গানার এক সরকারি হাসপাতাল। অভিযোগ, ওই মহিলা চিকিৎসক যখন রোগীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ওই রোগী আচমকাই তাঁর উপর চড়াও হন এবং নিগ্রহ করেন। হাসপাতালে উপস্থিত অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা শেষে ওই মহিলা চিকিৎসককে উদ্ধার করেন ওই রোগীর খপ্পর থেকে। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিকিৎসক নিগ্রহে অভিযুক্ত রোগীকে ইতিমধ্যে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদে গান্ধী হাসপাতাল। হাসপাতালের ভিতরের একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ওই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সেখানে দেখা যাচ্ছে মহিলা চিকিৎসক পাশ দিয়ে যাওয়ার পর আচমকাই এক ব্যক্তি চড়াও হন তাঁর উপর। প্রথম হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন এবং পরে অ্যাপ্রন ধরেও টানাটানি করেন বলে অভিযোগ। চিকিৎসক হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। আশপাশে অন্য রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা অভিযুক্ততে থামানোর চেষ্টা করলে, তাঁদেরও ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। পরে বেশ কয়েকজন একত্রিত হয়ে অভিযুক্তের নাগাল থেকে মহিলা চিকিৎসককে উদ্ধার করেন।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। গান্ধী হাসপাতালের ডেপুটি সুপার চিকিৎসক সুনীল কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত রোগী খিঁচুনির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। আচমকাই তিনি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন ও মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থার চেষ্টা করেন, চিকিৎসকের হাত ধরে টানাটানি করেন। এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আরও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতালের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় পুলিশকর্মীর সংখ্যাও বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।