—প্রতীকী চিত্র।
বছর আটচল্লিশের এক মহিলাকে খুনের অভিযোগে তাঁর পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের রাজকোটে। মৃতার নাম জ্যোতিবেন গোসাই। নীলেশ গোসাই নামে বছর একুশের ওই অভিযুক্ত যুবক মাকে খুনের পর সমাজমাধ্যমে মহিলার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, “দুঃখিত মা, তোমাকে খুন করলাম। আমি তোমাকে মিস করব।” এর পর আরও একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি নিজের মাকে খুন করেছি। আমার নিজের জীবনকে হারিয়ে ফেলেছি।”
প্রায় বছর কুড়ি আগে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল জ্যোতিবেনের। তার পর থেকে পুত্র নীলেশকে নিয়ে রাজকোটের ইউনিভার্সিটি রোডের ধারে ভগৎ সিং উদ্যানের ঠিকানায় থাকছিলেন তাঁরা। জ্যোতিবেনের এক প্রতিবেশীই প্রথম থানায় ফোন করে জানান ঘটনার কথা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় পুলিশকর্মীরা ওই বাড়িতে পৌঁছন, তখন মায়ের দেহের পাশেই বসেছিলেন অভিযুক্ত যুবক।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার সময় মাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। মায়ের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা নিয়ে প্রায়শই বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। ঘটনার আগে মায়ের সঙ্গে নীলেশের তর্কাতর্কি হয়েছিল। তখনই প্রথমে ছুরি দিয়ে মায়ের উপর হামলার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক। অভিযোগ, তাতে ব্যর্থ হওয়ার পর কম্বল দিয়ে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে জ্যোতিবেনকে খুন করেন তাঁর পুত্র।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই অন্য সন্তানদের সঙ্গে জ্যোতিবেনের বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল জ্যোতিবেনের। চিকিৎসাও চলছিল। এরই মধ্যে প্রায় এক মাস আগে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন মহিলা। সেই কারণে তাঁর মানসিক অসুস্থতা আরও বেড়ে গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার মৃত্যুর পর তাঁর প্রাক্তন স্বামী বা অন্য সন্তানদের কেউই দেহ দাবি করতে আসেননি। এমনকি কোনও দায় নিতেও অস্বীকার করেছেন তাঁরা।