—প্রতীকী চিত্র।
বদলাপুরকাণ্ডের পর ফের স্কুলের মধ্যে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। এ বারও ঘটনাস্থল সেই মহারাষ্ট্রের ঠাণে। সাত বছর বয়সি এক নাবালিকাকে স্কুলের ভিতরেই শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি ওই স্কুলে শারীরশিক্ষার শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি স্কুল চত্বরের মধ্যেই ওই নাবালিকার শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে বাবা-মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। স্কুল শিক্ষকের কুকর্মের কথা জানতে পেরে স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকেরা। অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় থানার সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর শনিবার জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক এক দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঠাণের ওই স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছিল গণেশ চতুর্থীর ছুটির আগেই। বদলাপুরের ঘটনার পর সজাগ অভিভাবকেরা মেয়েকে স্কুলের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করছিলেন। সেই সময়েই এই ঘটনার কথা জানতে পারেন তাঁরা। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ঠাণের বদলাপুরে এক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দুই খুদে পড়ুয়াকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত স্কুলেরই সাফাইকর্মী। ওই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল ঠাণে। স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে বম্বে হাই কোর্টেও। এ সবের মধ্যেই ফের মহারাষ্ট্রের ঠাণের এক বেসরকারি স্কুলে ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।