২৩ দিন লাগাতার খোঁজ চালিয়ে অভিযুক্তদের শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির জিবি রোডের যৌনপল্লিতে গুলি চালিয়ে যৌনকর্মী খুনের ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় এক জন মিডলম্যানও আহত হয়েছিলেন। ২৩ দিন লাগাতার খোঁজ চালিয়ে অভিযুক্তদের শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৭ মার্চ গুলি চলার ঘটনাটি ঘটেছিল। জিবি রোডের ওই যৌনপল্লিতে গুলি চলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কমলা মার্কেট থানার পুলিশ। সেখানে পৌঁছে এক যৌনকর্মী (৩০) এবং ইমরান (২৮) নামে এক মিডলম্যানের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ইমরানের কাঁধে গুলি লেগেছিল। ওই যৌনকর্মীর গুলি লেগেছিল ঘাড়ের পিছনে।
দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ওই যৌনকর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত করতে পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন করা হয়। দোষীদের ধরতেও গঠন করা হয় বিশেষ দল। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসা করে এবং এর আশপাশের সিসি ক্যামেরা খতিয়ে তিন জনকে শনাক্ত করা হয়, যাঁদের ঘটনার দিন রাতে ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাবের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। এর পর উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাব পুলিশের ঘন ঘন অভিযানের ভিত্তিতে পুলিশ কাকা, হ্যাপি এবং অনিল নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিন অভিযুক্তই পঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলে বন্দি ছিলেন এবং সেখান থেকেই তাঁদের পরিচয়। তাঁরা জানান, একটি মিষ্টির দোকানে ডাকাতি করার ছক কষেছিলেন তাঁরা। তার জন্য পিস্তলও জোগাড় করা হয়। কিন্তু ঘটনার দিন মিষ্টির দোকানে যাওয়ার আগে তাঁরা জিবি রোডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে পৌঁছে ইমরান-সহ যৌনপল্লির কয়েক জনের সঙ্গে তাঁরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
তাঁদের কাছে পিস্তল আছে দেখে আপত্তি জানান ইমরান এবং ওই যৌনকর্মী। দু’জনে পুলিশে অভিযোগ করতে পারেন বা পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন, এই ভয়ে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তরা অপরাধের কথা স্বীকার করার পর পুলিশ তাঁদের আটক করেছে। পুরো ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।