Indore Temple Tragedy

সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় দড়ি ছিঁড়ে আবার কুয়োয় মহিলা! ইনদওরে মন্দির বিপর্যয়ের ছবি ক্যামেরাবন্দি

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক জন মহিলা পুণ্যার্থীকে দড়িতে বেঁধে কুয়ো থেকে টেনে বাইরে তুলে আনা হচ্ছে। কুয়োর চারদিকে গোল করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন উদ্ধারকারীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইনদওর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:২৮
Share:

ইনদওরের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩৬ ছাড়িয়েছে। ছবি: টুইটার।

ইনদওরের বেলেশ্বর মন্দির বিপর্যয়ের ঘটনায় উদ্ধারকাজের সময় ধরা পড়ল মর্মান্তিক দৃশ্য। উদ্ধারকাজ চলাকালীন দড়ি ছিঁড়ে আবার কুয়োর ভিতরে পড়ে গেলেন এক মহিলা। ইনদওরের বেলেশ্বর মহাদেব ঝুলেলাল মন্দিরে উদ্ধার অভিযানের এই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক জন মহিলা পুণ্যার্থীকে দড়িতে বেঁধে কুয়ো থেকে টেনে বাইরে বার করে আনা হচ্ছে। কুয়োর চারদিকে গোল করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন উদ্ধারকারীরা। মহিলার সঙ্গেও এক জন উদ্ধারকারী ছিলেন। তিনি ওই মহিলাকে ধরে বাঁশ-দড়ির সিঁড়ি বেয়ে উঠতে সাহায্য করছিলেন। কিন্তু উপরে ওঠার কয়েক ধাপ আগেই দড়ি ছিঁড়ে যায়। আবার কুয়োর মধ্যে পড়ে যান ওই মহিলা। তবে দ্বিতীয় বার কুয়োয় পড়ে যাওয়ার পর ওই মহিলা মারা গিয়েছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার সকালে রামনবমী উপলক্ষে বেলেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন কয়েকশো পুণ্যার্থী। পুজো চলাকালীন দর্শনের জন্য ৫০ জনেরও বেশি মানুষ মন্দিরের ভিতরের একটি কুয়োর ছাদে উঠে পড়েন। বহু দিনের পুরনো সেই কুয়োর মুখ কংক্রিটের ছাউনি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাউনি যথেষ্ট শক্তপোক্ত না হওয়ায় তা ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে। কুয়োর মধ্যে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান পুণ্যার্থীরা। কংক্রিটের চাঙড়ের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় অনেকের। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৬ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫ জনেরও বেশি পুণ্যার্থী।

Advertisement

কুয়ো ভেঙে পড়ে যাওয়ার পর পরই উদ্ধারকাজে নামে পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল। সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রাও। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলকেও ডাকা হয়।

তবে এই ঘটনার জন্য প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, অনেক আগেই এই কুয়ো নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। কুয়োর উপরের ছাউনি বদলে ফেলার আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক কর্তারা বিষয়টিতে আমল দেননি। আর সেই কারণেই এই বিপর্যয়। কুয়োটির ছাউনির নির্মাণ সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দা শিবশঙ্কর মৌর্যের কথায়, ‘‘শিব মন্দিরটি প্রায় ৫০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। অথচ বর্গাকার আকৃতির কুয়ো ১০০ বছরেরও পুরনো। আগে কুয়োর মুখ খোলা থাকলেও বছর পঁচিশেক আগে কুয়োর মুখ ঢেকে দেওয়া হয়। কিন্তু ছাউনির কাজ সঠিক ভাবে না হওয়ায় সেটি যথেষ্ট শক্তপোক্ত ছিল না।’’

এই ঘটনায় ইনদওর পুরসভার দুই আধিকারিককে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement