—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্তম্ভিত ছেলেবেলার বন্ধুরা, অবাক স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক। বৃদ্ধ বাবা অবশ্য পাশেই দাঁড়িয়েছেন কসবায় শিক্ষককে লাথি মারায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর।
কসবায় স্কুল পরিদর্শকের অফিসে আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষককে সাব-ইনস্পেক্টর রিটন দাস লাথি মারায় তোলপাড় রাজ্য। নিন্দার ঝড় বইছে। তাঁর বৃদ্ধ বাবার দাবি, “ছেলের উপরেই আগে হামলা চালান শিক্ষকেরা। প্রাণ বাঁচাতেই লাথি মারার ঘটনা ঘটেছে।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার ঝাউখালিতে রিটনের বাড়ি। সেখানেই বেড়ে ওঠা। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে রিটন ছোট। দুই ভাই প্রাক্তন সেনাকর্মী, এক ভাই রেলকর্মী, আর এক ভাই সরকারি অফিসার। সকলেই অন্যত্র থাকেন। গত বছর নির্বাচনের সময় পুলিশের যে বদলির নির্দেশ হয়, তাতে কসবা থানায় ‘পোস্টিং’ পান রিটন। তার আগে নিউ আলিপুর থানায় ছিলেন। তারও আগে বেহালা থানায়। অফিসার হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন আগে। ২০১০ ব্যাচের ওই সাব-ইনস্পেক্টর স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বর্তমানে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায় পুলিশ কোয়ার্টারে থাকেন। ছুটিতে গোসাবায় ফেরেন। বাড়িতে অসুস্থ মা-ও রয়েছেন। মা কথা বলার অবস্থায় না থাকলেও, রিটনের বাবার দাবি, “আইন রক্ষা করতে গিয়েই ওই ঘটনা। প্রাণ বাঁচাতেই লাথি মারতে বাধ্য হয়েছে রিটন। আগে ওর উর্দি টেনে খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষকেরা। নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়। এক প্রকার নিজেকে বাঁচাতে এই কাজ করেছে ও।” হেনস্থার অভিযোগ আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা মানেননি। তবে বৃদ্ধ জানান, পুলিশের কাজ তাঁর কখনও ভাল লাগেনি। রিটন যখন পুলিশের চাকরি পান, যোগ দিতে বারণ করেছিলেন। রিটন শোনেননি।
ছেলেবেলার বন্ধুরা রিটনের ‘কীর্তিতে’ অবাকই হয়েছেন। এক জন বলেন, “যে ভাবে শিক্ষকদের ও লাথি মেরেছে, সেটা দেখে কষ্ট পেয়েছি।” বিপ্রদাসপুর হাই স্কুলে পড়তেন রিটন। সেখানকার এক প্রাক্তন শিক্ষক বলেন, “চাকরিহারা শিক্ষকদের উপরে পুলিশ অকথ্য অত্যাচার করল। আর সেই অত্যাচারে নাম জড়িয়ে গেল আমাদেরই প্রাক্তন ছাত্রের! আমাদের পড়ানোয় কোনও গাফিলতি ছিল কি না, ভেবে পাচ্ছি না।”
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে