শঙ্করাসন করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে শিখে নিন। চিত্রাঙ্কণ: শৌভিক দেবনাথ।
শরীর চাঙ্গা রাখতে শরীরচর্চা করতে হবে। যাঁরা জিমে যাওয়ার সময় পান না, তাঁদের কিন্তু বাড়িতেই ব্যায়ামের জন্য আধ ঘণ্টা হলেও সময় বার করতে হবে। অনেকে আবার যোগাসনে ভরসা রাখেন। ব্যথা-বেদনা ঠেকিয়ে রাখতে নিয়ম করে যোগাসন করা একান্ত প্রয়োজন। অবশ্য সঠিক নিয়ম মেনে যোগাসন করলে তবেই মিলবে ফল। যাঁরা পিঠ-কোমরের ব্যথায় কাতর, বাড়ছে কোলেস্টেরল-ট্রাইগ্লিসারাইড, ভুগছেন পেশির ব্যথায়, তাঁরা নিয়ম করে করতে পারেন শঙ্করাসন। সঠিক পদ্ধতিতে অভ্যাস করলে সারা শরীরেরই ব্যায়াম হবে।
কী ভাবে করবেন শঙ্করাসন?
শঙ্করাসন করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে জেনে নিন—
১) প্রথমে দুই পায়ের মধ্যে দূরত্ব রেখে দাঁড়ান।
২) এ বার বাঁ পায়ের হাঁটু ভাজ করে বাঁ হাত দিয়ে গোড়ালি স্পর্শ করুন।
৩) শরীর ঝুঁকিয়ে বাঁ হাত বাঁ পায়ের পিছন দিয়ে নিয়ে যান।
৪) এর পর ধীরে ধীরে ডান পা তুলে সামনের দিকে প্রসারিত করুন।
৫)ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের বুড়ো আঙুল ধরতে হবে।
৬) মাথা সামনের দিকে থাকবে, দৃষ্টি সোজা রাখুন।
৭) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
৮) এই ভঙ্গিমায় ২০ সেকেন্ড থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
কেন করবেন শঙ্করাসন?
• এই আসন শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে, মেরুদণ্ডকে শক্তপোক্ত করে।
• পিঠ, কোমর, হাত ও পায়ের পেশিকে শক্তিশালী করে তোলে।
• ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এই আসন। নিয়মিত অভ্যাসে শ্বাসজনিত যে কোনও অসুখ থেকে রেহাই মিলবে।
• শঙ্করাসন দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
• মনের অস্থিরতা কমায়, মনঃসংযোগে সাহায্য করে।
• শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এই আসন উপযোগী।
কারা করবেন না?
বাতজনিত সমস্যা থাকলে, হাঁটু প্রতিস্থাপন হলে এই আসন করা যাবে না।
শরীরের কোথাও আঘাত লাগলে এই আসন না করাই ভাল।
অন্তঃসত্ত্বারা এই আসন করবেন না।
যে কোনও যোগাসনই প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে করা উচিত। তাই প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে এই আসন অভ্যাস করতে যাবেন না।