প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
শুধু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন, নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন-পর্বে মোট ১৫ জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবার বাইডেন এবং হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদীর বৈঠক হবে। তার আগে ৭ লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার ঢাকায় সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, মোদী-হাসিনা বৈঠকে বাংলাদেশি এবং ভারতীয় টাকার মাধ্যমে লেনদেন সুগম করা, কৃষি গবেষণা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে তিনটি সমঝোতাপত্র সই হতে পারে। দুই পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিদ্যুৎ এবং রেলপথের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর (শনি ও রবিবার) জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আসর বসতে চলেছে নয়াদিল্লিতে। ওই সম্মেলনে এ বার সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জি২০-র সদস্য না হলেও দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসাবে বাংলাদেশ দু’দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। যা দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছনোর দৃষ্টান্ত বলেই ধরছে কূটনৈতিক মহল। পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসাবে দিল্লিতে হাজির থাকবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।
শনিবার সকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এবং ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন মোদী। দুপুরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর সঙ্গে হবে মধ্যাহ্নভোজ বৈঠক। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোগান, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, দক্ষিণ কোরিয়া, নাইজিরিয়া, ব্রাজিলের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।