গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক করবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সূত্রের খবর, দুই রাষ্ট্রনেতার ওই বৈঠকে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রের পাশাপাশি আলোচনায় আসবে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলায় ‘কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়লগ’ (কোয়াড)-এর চার সদস্যরাষ্ট্রের (ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান) সমন্বয় আরও নিবিড় করার প্রসঙ্গও।
চর্তুদেশীয় অক্ষের বোঝাপড়া বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে বাইডেনের পাশাপাশি ‘বিশেষ অতিথি’ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি। প্রসঙ্গত, আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর (শনি ও রবিবার) জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আসর বসতে চলেছে নয়াদিল্লিতে। ওই বৈঠকে এ বার সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন বাইডেন। ৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দিল্লি পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি।
সূত্রের খবর, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে মোদী-বাইডেনের উপস্থিতিতে কোয়াডের অন্য দুই সদস্যরাষ্ট্রের নেতারাও বৈঠক করতে পারেন। ২০১৭-তে ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া মিলে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৈরি হয়েছিল কোয়াড। মূলত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের এক তরফা আগ্রাসন মোকাবিলা উদ্দেশ্য হলেও, পরবর্তী কালে কার্যপ্রণালী আরও ব্যাপ্তি পায়। গত বছর জাপানের টোকিয়োয় শীর্ষবৈঠকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থায়িত্বকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোয়াডের সক্রিয়তা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন মোদী। সেই লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে দিল্লিতে। প্রসঙ্গত, মোদী এবং বাইডেনের পাশাপাশি আলবানিজ এবং কিশিদাও জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি আসছেন শুক্রবার।