বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর অবশ্য প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিতেই পারেন। তবে এত দিন সেটা কেন দেননি?”
ফাইল চিত্র।
মতুয়া ধর্ম মহামেলায় ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে আজ, মঙ্গলবার পুণ্যস্নানের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে মতুয়া ধর্ম মহামেলা।
ওই মেলা এবং পুণ্যস্নান উপলক্ষে আজ মোদী মতুয়াদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ভাষণ দেবেন। তার আগে সোমবার তিনি টুইট করেছেন, “মহান শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজি সামাজিক ন্যায় ও জনকল্যামে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তাঁর জন্মজয়ন্তীও উদ্যাপন করব।”
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়ির বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর্বে বাংলাদেশের ওরাকান্দির ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। ওরাকান্দি থেকেই হরিচাঁদের সামাজিক এবং ধর্মীয় আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল। বড়মার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং ওরাকান্দি দর্শনের কথাও
এ দিন টুইটে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মোদী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এখনও কার্যকর না হওয়ায় মতুয়া নেতৃত্ব-সহ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন সময়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেই ক্ষোভ প্রশমন করতেই মোদীর এই তৎপরতা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শোনানোর জন্য অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু আজ মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে ১৫ টি জায়ান্ট স্ক্রিন বসাচ্ছেন।
এ ছাড়া, দেশ-বিদেশে থাকা মতুয়া সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শান্তনু। তিনি বলেন, “এটা আমাদের মতুয়াদের কাছে বড় পাওনা।”
বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর অবশ্য প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিতেই পারেন। তবে এত দিন সেটা কেন দেননি?”