সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
তৃতীয় বার নির্বাচিত হয়ে তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে দায়িত্ব। সকলের মত নিয়ে সরকার পরিচালনা করবেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার অষ্টাদশ লোকসভা শুরু হতে চলেছে। প্রথম অধিবেশন বসেছে সকাল ১১টায়। তার আগে দিল্লি থেকে ভাষণ দিলেন মোদী। জানালেন, নতুন বিশ্বাসের সঙ্গে নতুন উদ্যমে অধিবেশনের কাজ শুরু হবে। সহমতের ভিত্তিতেই কাজ করবে তাঁর সরকার।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাদের নেতৃত্বাধীন জোট ২৯২টি আসন পেলেও বিজেপি একক ভাবে পেয়েছে মাত্র ২৪০টি আসন। এ ছাড়া, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নতুন সরকারে কিছুটা ‘নরমপন্থী’ হতে বাধ্য হয়েছে পদ্মশিবির। বিজেপিকে সরকার গড়তে হয়েছে শরিক দলগুলির সাহায্যে। সেই নমনীয়তার আঁচ পাওয়া গেল প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা শুরুর আগের ভাষণেও। জোট সরকারকে পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে বলে স্পষ্টই বার্তা দিলেন তিনি।
লোকসভায় সোমবার সাংসদ হিসাবে শপথগ্রহণ করেছেন মোদী। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যেরাও শপথ নিয়েছেন একে একে। শপথগ্রহণ তত্ত্বাবধান করেছেন প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাব। সকালেই রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রোটেম স্পিকার হিসাবে শপথ নিয়েছেন তিনি। লোকসভায় সাংসদদের শপথগ্রহণ চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। ২ বা ৩ জুলাই লোকসভার বিতর্কে অংশ নিতে পারেন মোদী।
অধিবেশন শুরুর আগের ভাষণে ইন্দিরা গান্ধীর আমলের কংগ্রেস সরকারকেও আক্রমণ করেন মোদী। বলেন, ‘‘৫০ বছর আগে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সেটা দেশের অন্ধকার অধ্যায়। গণতন্ত্রের উপর কালো দাগ। আর কখনও সেই আঁধার নেমে আসবে না এই দেশে।’’ বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত বিরোধীরা আমাকে হতাশ করেছে। তবে আশা করছি, সংসদে তারা সুষ্ঠু ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। মানুষ স্লোগান নয়, কাজ চায়।’’
মোদীর ভাষণের পর জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। প্রোটেম স্পিকার মোদীকে লোকসভার নেতা ঘোষণা করেন। ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ থেকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফাও গ্রহণ করেন তিনি।