উত্তরাখণ্ডে নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
উত্তরাখণ্ড সফরে গিয়ে প্রায় ১১ হাজার ৩০০ ফুট উচ্চতায় মানা অঞ্চলে ‘বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন’ (বিআরও)-এর টিনের তৈরি একটি অস্থায়ী শিবিরেই রাত কাটান প্রধানমন্ত্রী মোদী। শুধু রাত্রিবাসই নন, নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে খিচুড়ি, রুটি, চাটনি এবং এক ধরনের পুডিং খান তিনি।
উত্তরাখণ্ড সফরে গিয়ে অস্থায়ী কাঠামোটি পরিদর্শন করেন মোদী। তার পর তিনি সেখানে রাত্রিবাস করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই টিনের ছাদওয়ালা অস্থায়ী শিবিরটিকে জাহাজ আকৃতিতে পুনর্নির্মিত করা হয়। রাত্রিবাস করতে এসে মোদী রাতে খিচুড়ি রান্না করার জন্য অনুরোধ জানান। সরকারি এক আধিকারিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা কোনও বন্দোবস্তই করতে হয়নি। সাধারণ কর্মীরা যে খাবার খান, সেই খাবারই রাতে খেতে চান প্রধানমন্ত্রী।” সেই আধিকারিক এ-ও জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী এবং তার নিরাপত্তা আধিকারিকদের থাকা এবং খাওয়াদাওয়ার জন্য বদ্রীনাথে বিশেষ ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অস্থায়ী শিবিরেই রাত্রিবাসের সিদ্ধান্ত নেন।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ হাজার ৩০০ ফুট উচ্চতায় যেখানে মোদী রাত্রিবাস করেন, সেখানে খুব সাধারণ একটি ঘর রয়েছে। ঘর গরম করার জন্য রয়েছে একটি হিটার। রাত্রিবাস করার পরে মোদী বিআরও-এর আধিকারিকদের সঙ্গে করমর্দন করেন। তাঁদের সঙ্গে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন। ভিজিটার্স বুকে তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকা কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘‘কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সব কিছু অর্জন করা সম্ভব।’’ প্রসঙ্গত, সীমান্তবর্তী এলাকায় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে নতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য বা ধস সরানোর জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহযোগী সংস্থা হিসাবে কাজ করে বিআরও।