ভার্চুয়ালে চৌরিচৌরার শতবর্ষের সূচনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ছবি: পিটিআই।
চৌরিচৌরা স্মরণ করতে গিয়েও কৃষক আন্দোলনের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার চৌরিচৌরা কাণ্ডের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘শুধু থানায় আগুন লাগানো নয়, ওই ঘটনা দেশবাসীর মনেও আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।’’ কৃষক স্বার্থে তাঁর সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা,কোভিড সংক্রমণের মধ্যেও কৃষিক্ষেত্রে আর্থিক বৃদ্ধির কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দিল্লির একাধিক সীমানায় দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। তিনটি কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীতে ট্র্যাক্টর র্যালি করেছেন প্রজাতন্ত্র দিবসে। কিন্তু তার পরেও অনড় অবস্থান সরকারের। এই পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে চৌরিচৌরা আন্দোলনের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্দোলনে কৃষকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘‘চৌরিচৌরার আন্দোলনকে যতটা প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিল, তা দেওয়া হয় না। ইতিহাসের পাতাতেও গুরুত্ব পায়নি। এটা দুর্ভাগ্যের। কিন্তু তবু এই আন্দোলন আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’’
১৯২২ সালে দেশ জুড়ে মহাত্মা গাঁধীর নেতৃত্বে চলছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন। তার মধ্যেই ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের চৌরিচৌরায় একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন কৃষকরা। সেই মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। তার জেরে চৌরিচৌরা থানায় আগুন লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। ঘটনায় মোট ২২ জন পুলিশকর্মী এবং ৩ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে ১২ ফেব্রুয়ারি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী গাঁধীজি।
চৌরিচৌরার সেই সব ঘটনা স্মরণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘চৌরিচৌরার ঘটনা শুধু একটি থানায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। ওই আন্দোলনের বার্তা ও ব্যাপ্তি ছিল বিশাল। কিন্তু নানা কারণে সেটাকে ছোট ঘটনা হিসেবে দেখানো হয়।’’ দিল্লির আন্দোলনের কথা সরাসরি উল্লেখ না করেও মোদীর বক্তব্য, ‘‘সব সময়ই দেশের উন্নয়নে কৃষকদের বড় ভূমিকা ছিল। চৌরিচৌরাতেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই কৃষকদের জন্য গত ছ’বছরে সরকার এমন সব পদক্ষেপ করেছে, যাতে কৃষকরা আত্মনির্ভর হয়ে ওঠেন।’’