প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের দাবি, কর্নাটকে সাধারণ মানুষ বিজেপি সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ, দুর্নীতিতে বিরক্ত। এই দক্ষিণী রাজ্যে বিধানসভা ভোটে টিকিট দিতে গিয়ে দলীয় কোন্দল সামনে এসেছে বিজেপিতেও। কর্নাটকে এই কঠিন লড়াইয়ে শেষ লগ্নের প্রচারে নেমেই সবার আগে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। ভোটের সপ্তাহ দুয়েক আগে নিজের অ্যাপের মাধ্যমে ভোট-কৌশলের পাঠ দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের মনোবল চাঙ্গা করতে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলেন কংগ্রেসকে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “কংগ্রেস মানে শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি (গ্যারান্টি), দুর্নীতির প্রতিশ্রুতি। কংগ্রেস এখন এমন অবস্থায় যে, তাদের পক্ষে আদতে কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়াই সম্ভব নয়। বরং শেষ হয়ে এসেছে তাদের টেকার মেয়াদও (ওয়ার্যান্টি)।” পাল্টা আক্রমণে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের অবশ্য দাবি, “আমরা সর্বদা প্রতিশ্রুতি পালন করি। ওদের (বিজেপি) কাছে কি এমন কোনও তথ্য রয়েছে, যাতে প্রমাণিত হয় যে আমরা কথা রাখিনি?”
এই দক্ষিণী রাজ্যে বৃহস্পতিবার পুরোদস্তুর ভোট প্রচারে নেমে পড়লেও বক্তৃতা দেওয়ার বদলে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ‘নমো’ অ্যাপ মারফত কার্যত আলাপচারিতা সেরেছেন মোদী। তাঁর পরামর্শ, “দশ জন করে মহিলা ও পুরুষকে নিয়ে একটি করে দল তৈরি করুন। বাড়ি-বাড়ি যান এবং ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সাফল্য প্রচার করুন।... প্রত্যেক বাড়িতে অন্তত এক ঘণ্টা সময় কাটান, প্রবীণদের আশীর্বাদ নিন।”
ভোটের আগে প্রচারে জোরদার হাওয়া তুলতে মোদীর দাবি, “রেকর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গড়বে বিজেপি।” দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি কয়েক দিনের মধ্যে কর্নাটক সফর করব। এ রাজ্যে প্রচারে আসা বিজেপি নেতৃত্ব আমাকে জানিয়েছেন, এখানকার মানুষ দু’হাত ভরে তাঁদের আর্শীবাদ করেছেন।”
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে পাল্টা বিঁধে কর্নাটকের বিজেপি সরকারকে ‘৪০ শতাংশ কমিশনের সরকার’ বলে কটাক্ষ করছে কংগ্রেস। কারণ, রাজ্যের ঠিকাদারদের একাংশ অভিযোগ করেছিলেন, সরকারি কাজে মন্ত্রীদের ৪০% কমিশন দিতে হয়। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশের বক্তব্য, “১০ মে ভোটে কর্নাটকের মানুষ ৪০% কমিশনের সরকারের পতন নিশ্চিত করবে। তার পরে কংগ্রেস যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পূরণ করা হবে। যেমনটা ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান ও হিমাচল প্রদেশে হয়েছে।”
এরই মধ্যে প্রচারে উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ উঠেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে। উস্কানিমূলক বক্তব্য, ঘৃণা ছড়ানো এবং বিরোধীদের অপমানের অভিযোগে মামলা করেছেন কংগ্রেস নেতারা।