প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
নতুন সংসদ ভবনের বালযোগী প্রেক্ষাগৃহে আজ মন্ত্রিসভার শীর্ষ সদস্য এবং ছবির অভিনেতা-পরিচালকদের সঙ্গে নিয়ে ‘দ্য সাবরমতী রিপোর্ট’ ছবিটি দেখলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০২ সালের গোধরা কাণ্ডকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ছবিতে একপেশে সংখ্যালঘু-বিরোধী ভাষ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ। আজ তাঁর সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ‘দ্য সাবরমতী রিপোর্ট’ দেখতে দেখতে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।’ আর মোদী সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘এই ছবির নির্মাতাদের সম্মান জানাই তাঁদের প্রয়াসের জন্য।’
এই ছবির প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, এই ছবি সত্যকে তুলে ধরেছে। শাহ এই ছবি নিয়ে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “শত চেষ্টা করলেও সত্যকে অন্ধকারে চাপা দিয়ে রাখা যায় না।”
বর্ষীয়ান অভিনেতা জিতেন্দ্র ছিলেন দর্শকাসনে। তাঁর মেয়ে একতা কপূর এই ছবির প্রযোজক। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বলেছি, এই পেশায় পঞ্চাশ বছর কাটানোরপর এই প্রথম মেয়ের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি দেখলাম। উনি জানান, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটা তাঁরও প্রথম দেখা সিনেমা।”অন্য দিকে, রবিবার মধ্যরাতে আচমকাই সমাজমাধ্যমে এই ছবির অভিনেতা বিক্রান্ত মাসি জানান, তিনি স্বেচ্ছাবসর নিতে চান। আজ মোদীর সঙ্গে নিজের ছবি দেখে আপ্লুত বিক্রান্ত বলেছেন, এটাই তাঁর কর্মজীবনের‘তুঙ্গ মুহূর্ত’।
রাজধানীতেই আজ অন্য একটি ছবি দেখেছেন মূলত বিরোধী সাংসদরা। অভিষেক বচ্চনের ছবি ‘আই ওয়ান্ট টু টক’ চাণক্য প্রেক্ষাগৃহে দেখতে যাওয়ার জন্য মূলত এসপি এবং তৃণমূল সাংসদদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। তৃণমূলের জনা পনেরো সাংসদ গিয়েছিলেন। ছিলেন বিজেপি সাংসদ নীরজ শেখরও।