মন্ত্রিসভার বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
আগামী সেপ্টেম্বরে জি২০ শীর্ষসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে। নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের সেই কনভেনশন সেন্টারে সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাদল অধিবেশনের আগে এই বৈঠকে নানা উন্নয়ন প্রকল্প, একাধিক বিল পেশ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মোদী শুক্রবার বৈঠক সম্পর্কে টুইটারে লিখেছেন, ‘‘মন্ত্রিসভার একটি ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা বিভিন্ন নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে মতামত বিনিময় করেছি।’’ প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল দীর্ঘ দিন ধরেই প্রত্যাশিত ছিল। কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোট এবং পরের বছরের লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনের কাজে আনা হতে পারে বলে পদ্ম-শিবিরের একটি সূত্রের খবর।
২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগেই রদবদল হতে পারে বলে জল্পনা। গত জুলাইয়ে শেষ বার মন্ত্রিসভায় বড় মাপের পরিবর্তন করেছিলেন মোদী-শাহেরা। বাদ পড়েছিলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ, হর্ষ বর্ধন, প্রকাশ জাভড়েকরের মতো ১২ জন মন্ত্রী। অন্তর্ভুক্ত হন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ ১৭ জন। তার পরে আইন মন্ত্রক থেকে কিরেন রিজিজুকে, সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে মুক্তার আব্বাস নকভিকে সরানোর মতো ছোটখাটো রদবদল হয়েছে।
ভোটের আগে যে বড় মাপের পরিবর্তন হতে পারে, সাম্প্রতিক কালে বিজেপি শিবির থেকে একাধিক বার তার ইঙ্গিত মিলেছে। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা, অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী এনসিপি গোষ্ঠীর পাশাপাশি প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগেরও মন্ত্রিত্বপ্রাপ্তি হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া বাদল অধিবেশনে মোদী সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিষয়ক বিল পেশ করতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।