বাসন্তীর গাগরামারি গ্রামে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। — নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে শনিবার রাতে খুন হয়েছিলেন যুব তৃণমূল কর্মী জহিরুল মোল্লা। সোমবার কোচবিহার থেকে ফিরেই বাসন্তীর সেই এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আশ্বাস দেন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর।
সোমবার সকালে পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে কোচবিহার থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে নামেন রাজ্যপাল। সেখান থেকে সড়কপথে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি পৌঁছন বাসন্তীর গাগরামারি গ্রামে। তিনি কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে গাগরামারি গ্রামে এলাকার তৃণমূল এবং নির্দল প্রার্থীর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি চলছে। তার জেরে এলাকায় বোমাবাজি হচ্ছে বলেও অভিযোগ। রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক জন এ নিয়ে অভিযোগ জানান তাঁকে। এ নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকেরা বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানোর কথা বলেন। গাগরামারি গ্রাম থেকে ক্যানিংয়ের গেস্ট হাউজে চলে যান রাজ্যপাল।
শনিবার রাত ৯টা নাগাদ খুন হন বাসন্তীর গাগরামারির বাসিন্দা জিয়ারুল মোল্লা। তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রাজ্যপাল সোমবার গাগরামারি গ্রামের যে এলাকায় যান সেখান থেকে কিছুটা দূরে জিয়ারুলের বাড়ি। যদিও জিয়ারুলের পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে।