—ফাইল চিত্র।
ভোটের প্রচারে ৩০ অক্টোবর মিজ়োরামে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বিজেপি নেতা জনি লালথানপুইয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রচারে আসছেন না। তাঁর বদলে ওই দিন মিজোরামে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ভোটের আগে এক দিন প্রচারে আসার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর।
প্রধানমন্ত্রী কেন মিজ়োরামের প্রচার কর্মসূচি বাতিল করলেন তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তবে কংগ্রেস এ নিয়ে তীব্র খোঁচা দিয়েছে মোদী তথা বিজেপিকে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ‘‘শুনছি প্রধানমন্ত্রী মিজ়োরামের প্রচার কর্মসূচি বাতিল করেছেন। হয়তো তিনি ভেবেছেন, পাশের রাজ্য অশান্ত মণিপুরে তিনি ১৮০ দিনে এক বারও যাওয়ার সময় পাননি, সেই কথা উঠতে পারে। তাই কর্মসূচি বাতিল করেছেন।’’
মিজ়োরামে ২০১৮ সালের বিধাসনভা ভোটে ডাহা ফেল করেছিল বিজেপি। ৪০ আসনের বিধাসনভায় জয় এসেছিল মাত্র একটিতে। একটি আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল গেরুয়া শিবির। বাকি বেশির ভাগ আসনেই মুখ পুড়েছিল তাদের। তবে এ বার অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা গিয়ে ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ প্রকাশ করে হাজারো প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। তার মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন। নড্ডা জানিয়েছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যের ৩৩ শতাংশ চাকরি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। প্রতিটি কন্যাশিশুকে দেড় লক্ষ টাকার সাহায্য প্রদানের উদ্দেশে রানি লুপুইলিয়ানির নামাঙ্কিত প্রকল্প হাতে নেবে বিজেপি। কিন্তু সেই মিজ়োরামে প্রচারে যাচ্ছেন না মোদী।