হলদিয়ার মঞ্চে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
শত্রুতা শুধু উপর উপর। পর্দার আড়ালে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা চলছে বাম ও কংগ্রেসের। হলদিয়ার জনসভায় এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শনিবার রাজ্যে পা রেখেছেন তিনি। সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের আগে হেলিপ্যাড ময়দানে দলের জনসভায় যোগ দেন। সেখানে শুধু তৃণমূল নয় বাম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানান তিনি। মোদী বলেন, ‘‘গোপন বন্ধুত্ব থেকে সাবধান থাকুক। পর্দার আড়ালে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা চলছে। দিল্লিতে একসঙ্গে বসে রণকৌশল তৈরি করেন এঁরা। কেরলে তো বাম-কংগ্রেসের সমঝোতাই রয়েছে, যে ৫ বছর তোমরা লুঠপাট চালাও, ৫ বছর আমরা চালাব। এখানেও সেই ষড়যন্ত্রে চলছে। এদের সমর্থনে ভোট নষ্ট করলে ধোঁকাবাজির শিকার হবেন আপনারা।’’
ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্য সরকার কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সকলে প্রাপ্য সুবিধা পাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দিল্লির উপকণ্ঠে দু’মাসের বেশি সময় ধরে চলে আসা কৃষক আন্দোলন ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়।, তিনি বলেন, ‘‘ভারতকে বদনাম করতে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের ভাবমূর্তি নষ্টের পরিকল্পনা চলছে। যাঁরা মা-মাটি-মানুষের কথা বলেন ভারতমাতাকে নিয়ে কোনও আবেগ নেই তাঁদের। তাই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে দিদির মুখ থেকে একটি কথাও বেরোয় না।’’
২০১১- পরিবর্তনের আশায় বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় এনেছিলেন। কিন্তু ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি দিলেও অপশাসন এবং অত্যাচার চালানো ছাড়া দরিদ্র মানুষের জন্য তাঁর সরকার কোনও কাজ করেনি বলেও অভিযোগ করেন মোদী। ২০২১-এ বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলায় সঠিক অর্থে পরিবর্তন আসবে বলে দাবি করেন তিনি।
সরাসরি আপডেট—
• ৫.০৯: কলকাতায় টেনিস তারকা আখতার আলির প্রয়াণের খবর পেলাম। করোনার সময় আপনারা সাবধান থাকুন। ভারতকে করোনামুক্ত করতে আমাদের চেষ্টায় কোনও ত্রুটি নেই। বিশ্বের অনেক দেশকেও ভারত টিকাকরণে সাহায্য করছে।
• ৫.০৬: এ বার পরিবর্তন হবেই। এদের গোপন বন্ধুদের থেকেও সাবধান থাকুক। পর্দার আড়ালে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা চলছে। দিল্লিতে একসঙ্গে বসে রণকৌশল তৈরি করেন এঁরা। কেরলে তো বাম-কংগ্রেসের সমঝোতাই রয়েছে, যে ৫ বছর তোমরা লুঠপাট চালাও, ৫ বছর আমরা চালাব। এখানে তৃণমূলও সেই ষড়যন্ত্রে শামিল। তাই বাম-কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।
• ৫.০৪: যাঁরা সত্যি সত্যিই গরিবের কথা ভাবেন, তাঁরা সকলেই রাম রাম বলে তৃণমূল ছেড়েছেন। আজ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন ওঁরা। বাংলাকে তোলাবাজ মুক্ত করে ছাড়ব আমরা।
• ৫.০৪: বাংলার মানুষ ফুটবলপ্রেমী। সেই ভাষাতেই বলি, তৃণমূল একের পর এক ফাইল করেছেন, অপশাসন, বিরোধীদের উপর হিংসা, বাংলার মানুষের টাকা লুঠ এবং বিশ্বাসের উপর ফাউল। খুব শীঘ্র বাংলার মানুষ তৃণমূলকে রাম কার্ড দেখাতে চলেছেন। পিসি-ভাইপোর সরকারকতে উৎখাত করার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছেন বাংলার মানুষ।
• ৫.০৩ : নতুন শিক্ষানীতি এখনও কার্যকর করেনি বাংলার বর্তমান সরকার। রেশন কার্ড প্রকল্পও চালু হতে দেয়নি। এতে দরিদ্র শ্রমিকদের ক্ষতি হচ্ছে। এখনও সপ্তম বেতন কমিশন চালু করতে দেওয়া হয়নি। এখানকার সরকার তো নমিজেদের কর্মীদেরই বেতন দিতে পারছে না।
• ৫.০২: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ৩৬ লক্ষ গরিব মানুষ টাকা পেয়েছেন। বাংলায় ৭৩ লক্ষ শৌচাগার তৈরিপ জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্র। বাংলার উন্নয়নের জন্য এখানেও ডাবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন। বিজেপি এলেই এখানে আসল পরিবরত্ন ঘটবে। পরিবর্তন কী তা ত্রিপুরার মানুষ অনুভব করছেন। ওখানেও বছরের পর বছর অত্যাচার সইছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু আমারা পরিশ্রম বন্ধ করিনি। আজ দেখুন ওখানে কত উন্নয়ন ঘটেছে।
• ৪.৫৮: মমতাদির সরকার যে গরিব মানুষের জন্য একেবারে ভাবে না, তার অন্যতম উদাহরণ হল আয়ুষ্মান যোজনা থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত রাখা। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুবিধা পেতে পারতেন সকলে। কিন্তু এখানকার সরকার বাংলায় কেন্দ্রের প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে দিচ্ছে না। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে সাধারণ মানুষের কল্যাণ আটকে দিচ্ছে যারা, তাদের উদ্দেশ্য সকলের কাছেই পরিষ্কার।
• ৪.৫৬: বাংলায় বিজেপির সরকার গঠন হলে কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প অতি দ্রুত বাংলায় কার্যকর হবে। দেশের অন্য কৃষকদের মতো সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন বাংলার কৃষক।
• ৪.৫৪: ভাগ্য ভাল কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার ৪ কোটি মানুষের জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। তার জন্যই করোনার সময় সরকারের কাছ থেকে চাকা পেয়েছিলেন মানুষ। করোনার সময় কৃষকদের অ্যাকাউন্টে মোট ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা জমা করা হয়েছে। বাংলার কৃষকরাও এই সুবিধা পেতে পারতেন। কিন্তু এখানকার সরকার এই প্রকল্পই নিতে চায়নি। বাংলার মানুষ তাই মমতাদিকে শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তা বুঝেই সে নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সরাসরি কৃষকদের পিএম সম্মান নিধি প্রকল্পের সুযোগ দিতে চায় না তৃণমূল সরকার। শুধু ৬ হাজার কৃষকের নাম পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু তাঁদেরও টাকা দিতে পারছে না কেন্দ্র। কারণ তৃণমূল সরকার এখনও পর্যন্ত তাঁদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রকে দেয়নি। এই সংবেদনহীনতা দেখছেন বাংলার কৃষক। কারা তাঁদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছে।
• ৪.৫১: এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ এল, ঘূর্ণিঝড়ের সময় অনেক টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই টাকার জন্য আদালতকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। করোনার সময়ও কম বিপদ ছিল না। অনেক মানুষের রোজগার চলে গিয়েছিল। বাংলার মানুষের জন্য সেই সময় বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের রেশন এখানকার সরকার সঠিক ভাবে দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি।
• ৪.৫০ : নন্দীগ্রামে যাঁরা গুলি চালিয়েছিলেন, যাঁরা গরিবের রক্ত বইয়েছিলেন, আজ তাঁদের দলে নিচ্ছেন কেন? বাংলার মানুষ কি শুধু নির্বাচনের ঘুঁটি? দুঃসময়েও এখানকার রাজনীতিকরা নিজেদের ফায়দা খোঁজেন।
• ৪.৪৩: মমতার হাত ধরে বাংলায় বামেদের অত্যাচারের নীতিই পুনর্জীবন পেয়েছে। বাংলায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। যাঁরা মা-মাটি-মানুষের কথা বলেন আজ ভারতমাতার জন্য কোনও আবেগ নেই তাঁদের।
• ৪.৪০: আজকের বাংলা উন্নতি চায়, পরিবর্তন চায়। গত ১০ বছরে রাজ্য সরকার কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করতে পেরেছে? বাংলার এই পরিস্থিতির জন্য এ খানকার রাজনীতিই সবচেয়ে দায়ী। স্বাধীনতার পর এখানে কোনও ভাল রাজনৈতিক দলই আসেনি। কংগ্রেসের আমলে শুধু দুর্নীতি করেছে। বামেরা দুর্নীতির সঙ্গে অত্যাচার চালিয়েছে। বিকাশ আটকে দেন ওঁরা। হিংসা এবং অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ২০১১-র দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলে। পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতাদি। মানুষ ওঁর কথায় বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু ১০ বছরে নির্মমতা ছাড়া কিছু পাননি বাংলার মানুষ।
• ৪.৪৬: ভারতকে বদনাম করতে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের ভাবমূর্তি নষ্টের পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু এ নিয়ে দিদির মুখ থেকে একটি কথাও বেরোয় না।
• ৪.৪৫: রাস্তায় রোজ খুন খারাপি হলে যুবকরা চাকরি পাবেন কী করে। উন্নতির কথা বললেই দিদি রেগে যান। ভারত মাতা কি জয় শুনলে রেগে যান। কিন্তু দেশবিরোধী মন্তব্যে কিছু যায় আসে না ওঁর।
• ৪.৩৭: আজ বাংলায় দাঁড়িয়ে একটা প্রশ্ন করতে চাই। ব্রিটিশ শাসনের সময়ও পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিকশিত রাজ্য ছিল। পরিকাঠামো, বাণিজ্যে বাংলার মোকাবিলা করার মতো কেইউ ছিল না। বাংলার কৃষক খুব পরিশ্রমী। বাংলায় উন্নয়নের সেই গতি থমকে গেল কেন? এত বড় বড় বন্দর থাকতে অন্য রাজ্য বানিজ্যে বাংলাকে টপকে গেল কি ভাবে?
• ৪.৩৬: চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বিশেষ করে মহিলা শ্রমিকরা সুবিধা পাবেন। তাঁদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। চা-বাগানের সঙ্গে যুক্ত সব পরিবারকে অভিনন্দন জানাই।
• ৪.৩৫: কলকাতায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে। এ বারের বাজেটে আরও টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এ বছরও হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলার জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ করেথছি আমরা। কলকাতা-শিলিগুড়ি সড়কের সংস্কার হবে। আগের বছরের তুলনায় বাংলার রেলের জন্য ২৫ শতাংশ বেশি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
• ৪: ২৯: আমার প্রিয় মা, বোন ভাই ও বন্ধুরা মেদিনীপুরের এই পবিত্র মাটিতে আসেত পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। শহিদ মাতঙ্গিনী, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর রক্তে রক্তিম হয়েছে এই ভূমি। এই মাটির বীর সন্তান বিদ্যাসাগর মহাশয় বাঙালিকে বর্ণ পরিচয় দিয়েছে। সতীশ চন্দ্রের হাতে তৈরি হলদিয়া বন্দর। মেদিনীপুরের মাটির গুণে আমি মুগ্ধ।
• ৪. ২৭: মা গঙ্গার এক পাড়ে রয়েছি। মা গঙ্গার উৎসস্থল উত্তরাখণ্ডের এখন চরম বিপদ। হিমবাহ ভেঙে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে সেখানে। ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। উত্তরাখণ্ডের জন্য প্রার্থনা করছি।